প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা লবনগোলা গ্রামে । অভিযুক্ত আরিফ মৃধা পার্শ্ববর্তী মাইঠা গ্রামের মৃত. আ. রব মৃধার ছেলে।
ভুক্তভোগী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। আমার শ্বাশুড়ি বরগুনার একটি খাবার হোটেলে কাজ করে। এক বছর যাবৎ দশ মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে আমি স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছি। দিনের বেলায় ঘরে একা থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আরিফ মৃধা অনেকদিন যাবৎ আমাদের বসতঘরের সামনে ওৎ পেতে থাকে। সামনে পড়লেই আমার স্বামীর মোবাইল নম্বর চায়।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আরিফ মৃধা দরজায় এসে আমার কাছে পানি খেতে চায়। আমি ঘরে পানি আনতে গেলে সে কৌশলে আমার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় পনু মুসুলি আসলে আরিফ পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পনু মুসলি জানান, আমি ডাক চিৎকার শুনে দ্রুত নুর আলমের (ভুক্তভোগীর স্বামী) ঘরে গেলে আমাকে দেখে আরিফ ঘর থেকে বের হয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। আরিফ এর আগেও অনেককে ধর্ষচেষ্টা করেছে। আরিফ ঘটনাটি সবার কাছে বলে বেড়ায় যে, ‘নুরে আলমের বউরে চাইপ্পা ধরছিলাম বাশারের বাপের জন্য পারি নাই’।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নুরে আলম বলেন, আমি চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় চাকরি করি। ঘটনার দিন মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রী ঘটনার বিবরণ জানায়। ছুটি পেয়ে বরগুনায় আসতে দেরি হওয়ায় আইনের আশ্রয় নিতে বিলম্ব হয়েছে।
নুরে আলমের মা নুরুন্নাহার বলেন, ছেলে দূরে কাজ করে। ঘটনার দিন আমি বরগুনায় কাজে গিয়েছিলাম। আমার পুত্রবধূ মোবাইল ফোনে ঘটনা জানালে আমি বাড়িতে চলে যাই। অভিযুক্ত আরিফের চাচাতো ভাই টুটুলকে ঘটনাটি জানালে সে উল্টো হুমকি দেয়। বর্তমানে আমারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, আরিফ একজন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী। মাদক মামলায় আরিফ একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছে। স্থানীয় অনেক মেয়েদের এভাবে ধর্ষণ ও ইভটিজিং'র চেষ্টা করেছে। কেউ আইনের আশ্রয় নিতে গেলে তার চাচাতো ভাইয়ের অদৃশ্য হাতে ধামাচাপা হয়ে গেছে এমন নিকৃষ্ট ঘটনাগুলো।