প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭২তম জন্মদিন। মোমবাতি প্রজ্বলন, কবর জিয়ারত, সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করেছে তার পরিবার, স্বজন, নুহাশপল্লীর স্টাফ ও ভক্ত পাঠকরা। নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, শুক্রবার প্রথম প্রহরে ১০০১টি মোমবাতি জ্বালিয়ে ও কেক কেটে জন্মদিনের কর্মসূচী শুরু করে নুহাশ পল্লীর স্টাফরা। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হুমায়ূন স্যারের সহধর্মীনী মেহের আফরোজ শাওন, তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতসহ অসংখ্য ভক্তকে নিয়ে প্রয়াত লেখকের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত করা হয়। তিনি আরো বলেন, এতে হিমু পরিবহনের সদস্যরাও অংশ নেন। লেখকের জন্মদিনে স্মরণ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরাও যোগ দেন। পরে নুহাশপল্লীর স্টাফ, ভক্ত পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের আত্মার শান্তি কামনা করে শাওন দুই পুত্র নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে লেখকের ম্যূরালের সামনে কেক কাটেন। পরে লেখকের ৭২তম জন্মদিনে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাওন। ‘স্বামীর স্বপ্ন ধীরে ধীরে পূরণ হচ্ছে’ জানিয়ে শাওন বলেন, ‘১০ বছর আগেও যারা ছোট ছিলেন তারা এখন কিশোর/কিশোরী। নতুন এ প্রজন্ম এখন বিশেষ করে এই পেন্ডেমিককালে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়তে শুরু করছেন। তার লেখার ভেতরকার রস, বোধ ও মানবিকতার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। এমনকি তারা হুমায়ূনকে নতুন করে উপলদ্ধি করতে পারছেন। হুমায়ূনের লেখার ভেতরকার যে রসবোধ, যে মানবিকতা সেগুলো তারা বুঝতে পারছেন।’ শাওন আরো বলেন, ‘৮০ দশকের মধ্যবিত্ত মানসিকতার যে উপন্যাস সেটা ২০২০ সালে পড়েও তারা হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসছেন। লেখার মূল বক্তব্যটা তারা বুঝতে পারছেন। এটা আমার কাছে মধুর আশ্চর্যের বিষয়, এটা আমার কাছের আনন্দের একটা ব্যাপার। এখনকার প্রজন্ম হুমায়ূন আহমেদকে নতুন করে পড়ছেন বা পড়া যারা মাত্র শুরু করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’ ‘তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা হুমায়ূন আহমেদকে আগে পড়েননি, এখন পড়ে বুঝতে পারছেন যে হুমায়ূন আহমেদ কত বড় মাপের মানুষ ছিলেন। এটা আমার কাছে বিস্ময়কর’ বলেন শাওন। বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন।