প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টাইম ম্যাগাজিনের পাতায় নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে লিখেছিলেন বারাক ওবামা। এবার তারই কলমে রাহুল গান্ধীর ব্যাখ্যা। এক স্মৃতিকথায় রাহুল সম্পর্কে লিখেছেন তিনি।নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে ‘আ প্রমিসড ল্যান্ড’ নামে ওবামার লেখা সেই উপাখ্যানের অংশ। আর তাতেই রয়েছে রাহুল, সোনিয়া ও মনমোহন সিং’র নাম।সেখানে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিখছেন, ‘একজন নার্ভাস, অগোছালো ব্যক্তিত্ব। তিনি যেন একজন ছাত্র যে অনেক পড়াশোনা করেছেন ও শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আগ্রহী। কিন্তু তার তৎপরতার অভাব রয়েছে অথবা বিষয়টা বোঝানোর ক্ষমতা কম।’শুধু রাহুল নন, সোনিয়ার নামও রয়েছে সেই লেখায়। ওবামা লিখেছেন, ‘আমরা শুধুই চার্লি ক্রিস্ট বা রাহম এমানুয়েলের মত হ্যান্ডসাম পুরুষদের কথা শুনেছি। কিন্তু রাজনীতিতে মহিলাদের সৌন্দর্য্যের কথা শুনিনি। অবশ্য ব্যতিক্রম সোনিয়া গান্ধী।ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং’র কথাও বলেন তিনি। তার কথায় মনমোহন একজন অবিচল মানুষ। তার সঙ্গে সাবেক মার্কিন ডিফেন্স সেক্রেটারির তুলনা করেন তিনি।তার লেখায় রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথাও। তাকে স্ট্রিট স্মার্ট বস হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছে ওবামা।
এর আগে ‘দারিদ্র থেকে প্রধানমন্ত্রীত্বে’ এই ভাষাতেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে টাইম ম্যাগাজিনে প্রোফাইল লিখেছিলেন তৎকালীণ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার মতে, মোদির এই জীবন কাহিনীতেই প্রতিফলিত হয়েছে ভারতের উত্থানের গতি ও সম্ভাবনা।ওবামার লেখনীতে ‘ছোট বেলায় বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করে পরিবারকে সাহায্য করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর আজ তিনি পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের মাথা। দারিদ্র থেকে প্রধানমন্ত্রীত্ব, মোদির জীবন থেকেই ভারতের অগ্রগতি ও সক্রিয়তার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে’।ভারতের ভয়াবহ দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, মহিলাদের সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে মোদির উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ওবামা।সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী একশজন ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তাকে ভারতের রিফর্মার-ইন-চিফ বলেও সম্বোধন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।