প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবক’টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি থাকা দুই অঙ্গরাজ্যের একটিতে জো বাইডেন আর অন্যটিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন।
সিএনএন, ফক্স, এনবিসি, বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে ঘোষিত এই ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের অবস্থানকে সুসংহত করেছেন।অন্যদিকে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ইলেকটোরাল ভোট।
শুক্রবারের আগে বাইডেনের ভোট সংখ্যা ছিল ২৭৯ এবং ট্রাম্পের ২১৭। অ্যারিজোনা, জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের ফল ঘোষিত হওয়ার পর ফলাফল চূড়ান্ত হয়।
অ্যারিজোনা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন বেশি পপুলার ভোট পাওয়ায় ওই দুই অঙ্গরাজ্যের ২৭ ইলেকটোলার কলেজ ভোট তার ঝুলিতে জমা পড়ে। ফলে তার ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০৬। অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলিনার ১৫ ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোট ২৩২ ইলেটোরাল ভোট ঘরে তুলতে সক্ষম হন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক উল্টো ফলাফল হলো এবার। ওই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রাথী হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছিলেন ২৩২ ভোট।
জর্জিয়া রাজ্যে দুই প্রার্থীর ভোট খুব কাছাকাছি থাকায় এর আগে বলা হয়েছিলো, সেখানকার ভোট আবার গণনা করা হবে। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের নির্বাচনি কর্মকর্তারা ঘোষণা করেন, আরেকবার গণনা করা হলেও এই পরিসংখ্যানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এই রাজ্যে বাইডেনের জয়ের ফলে ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম কোনো ডেমোক্রেট প্রার্থী জর্জিয়ায় বিজয়ী হলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনী ফলাফলে অস্বীকৃতি জানিয়ে তার সমর্থকদের রাজপথে বিক্ষোভ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প এবারের নির্বাচনের আগে থেকে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে বহুবার বক্তব্য দিয়েছেন এবং ফল ঘোষণা শুরু হওয়ার পর একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আছেন।
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বক্তব্যে দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবার ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু শুক্রবারের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হওয়ার পর এখন ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে একই দাবি করে যাওয়া অসম্ভব হবে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।