প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন সময়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা বিএনপির ষড়যন্ত্রেরই অংশ। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দক্ষতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গতকাল (১২ নভেম্বর) বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। দেশকে আবারো পঁচাত্তরের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে দেশের মাটিতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। বার বার জাতির জনকের পরিবার ও দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয় তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৫৭ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, ইতালি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মান্নান মাদবার (মজ্ঞু)। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
খায়রুল হাসান জুয়েল বলেন, এই যে গতকালকে যে ঘটনা ঘটেছে এটা আসলে একটি পরিকল্পিত ঘটনা। যে দলটি নিয়ে আজ আমরা কথা বলছি এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা যখন দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিল সেই তখন থেকেই বাকা পথে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সে তার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি একটি দাম্ভিকতা করেছিলেন যে, সে রাজনীতিটাকে রাজনীতিবিদদের জন্য জটিল এবং কঠিন করে তুলবে। এবং সেই যে রাজনীতির মাঠকে জটিল করার প্রক্রিয়া তিনি যেমন করে গিয়েছিলেন ঠিক তেমনি সে ধারাবাহিকতায় সেদিন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর সব থেকে নিরাপদ জায়গা হচ্ছে কারাগার সেখানেও আমাদের জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে পর্যন্ত ওই দলের সেই রাজনীতির মাঠ গরম করার পাঁয়তারা এখনো তার পরবর্তী প্রজন্ম খালেদা থেকে শুরু করে তারেক জিয়া এই সন্ত্রাসী কার্যাবলী দেশে পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগুন সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত চলছিল বিএনপি-জামায়াতের ওই সহিংসতার তাণ্ডব। পৈশাচিক আগুন সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল ওই সময়। তবে গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। রাজনীতিতেও অনুপস্থিত ছিল চিরচেনা সহিংসতা। কিন্তু ৫ বছর পর গতকাল ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগুন দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।