প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ৬:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চাচাতো বোনের সঙ্গে প্রেম। এরপর বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রাণনাশের হুমকি। এরপর পরিবারের পছন্দে ধর্ষণের শিকার তরুণীর অন্যত্র বিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু ঝামেলা করলো ধর্ষক বকুল মিয়া। ওই তরুণীর স্বামীকে বলে দিলো ধর্ষণের কথা। বিয়ের ১৩ দিন পরই নববধূকে তালাক দেন বর।
ঘটনাটি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরপুরের। এ ঘটনায় বকুল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার কিশোরী। প্রায় এক মাস পর আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেফতার বকুল মিয়া একই উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফজলুল হক ফজলুর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নান্দাইল থানায় স্থানান্তর করেছে র্যাব-১৪।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বকুল মিয়া। এরপর বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এসবের মধ্যেই অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় ওই তরুণীর। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রেমিক বকুল। বিভিন্ন অপবাদ ছড়িয়ে বিয়ে বন্ধ করতে পারেনি। বিয়ের ১৩ দিন পর ওই তরুণীর স্বামীকে স্থানীয় বাজারে দেখতে পায় বকুল। পরে তাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে জানায়- বকুল মিয়া তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এর প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এ ঘটনায় সংসার ভাঙার উপক্রম হলে দুই পক্ষ সালিস ডাকে। সালিসে তালাকের সিদ্ধান্ত হয়।
তালাকের পর ১৬ অক্টোবর বকুল মিয়ার বিরুদ্ধে নান্দাইল থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও সংসার ভাঙার অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে ধর্ষক বকুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার তাকে নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার বকুল মিয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।