প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ৪:১৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক গত একদিনে দেশে আরও ১ হাজার ৮৪৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর এর চেয়ে বেশি নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেদিন ১ হাজার ৮৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত একদিনে শনাক্ত ১ হাজার ৮৪৫ জন নতুন রোগী নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। আর করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১৪০ জনে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৭৩৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৮ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা ২৬ অক্টোবর ৪ লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৪তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ কোটি ২১ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১২ লাখ ৮৪ হাজারের ঘরে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণও বেড়েছে। ১১৫টি ল্যাবে ১৭ হাজার ১১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ১ হাজার ৮০০টি নমুনা। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ০৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ আর নারী ৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি এবং ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৮ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৩ জন চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ১৪০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৭২৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪১২ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ২১৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৬১৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৫৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৩১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৪১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৮ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ২১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২০৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৮০ জন খুলনা বিভাগের, ২০৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২৫৭ জন সিলেট বিভাগের, ২৭৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২৮ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।