বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
ঘর গোছাচ্ছেন বাইডেন, দুশ্চিন্তায় ট্রাম্প
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ৪:১৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের পাতা ডেস্ক
নির্বাচনে জয়ী হয়েই জো বাইডেন যখন ঘর গোছানো শুরু করেছেন তখন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কপালে পড়ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফের নাম ঘোষণা করেছে বাইডেন শিবির। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে নেননি। এরই মধ্যে নির্বাচনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। জো বাইডেন ট্রাম্পের ফোন পর্যন্ত পাননি। তাই  ট্রাম্প পরাজয় মানবেন কি না, সে নিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছে। ট্রাম্পের গতিবিধি সম্পর্কে কেউ আগাম অনুমান করতে পারছেন না। গত বুধবার ট্রাম্প তার শীর্ষ নির্বাচনী উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে হোয়াইট হাউজে প্রবেশের প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরই মধ্যে তিনি হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে তার দীর্ঘদিনের পরিচিত রন ক্লেইনের নাম ঘোষণা করেছেন। আল গোরের চিফ অব স্টাফ হিসেবে কাজ করেছেন ক্লেইন। হার্ভার্ড স্নাতক ক্লেইন ওয়াশিংটনের রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ের অনেকের ঘনিষ্ঠ কুশীলব হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ ঘোষণার পর রন একে অত্যন্ত সম্মানের বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন প্রশাসনে যোগ দিয়ে আমেরিকাকে ঐক্যবদ্ধ করার যে প্রয়াসের কথা জো বাইডেন বলেছেন, তা এগিয়ে নিতে তিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনে জয়-পরাজয়ই শেষ কথা নয়, তার জন্য  রয়েছে আরও  দুঃসংবাদ। ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেশ কিছু মামলা মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে বেশ কিছু সিভিল মামলার সঙ্গে অপরাধজনিত মামলাও রয়েছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাওয়া আইনি সুবিধা হারানোর পর ট্রাম্পের নাজুক ভবিষ্যৎ নিয়ে এর মধ্যেই নানা কথা উঠেছে। ট্রাম্পের মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে ‘ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ নিয়ে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের তদন্ত। ব্যক্তি ট্রাম্পের ব্যবসার আড়ালে আর্থিক অব্যবস্থাপনা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে এ তদন্তে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা নারীর মুখ বন্ধ করার জন্য অর্থ প্রদানের মামলাটিও জেগে উঠতে পারে। আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে দিয়ে নির্বাচনের প্রচার তহবিল থেকে এমন অর্থ দিয়ে অভিযোগ আনা নারীর মুখ বন্ধ করিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ মামলার তদন্ত ব্যাপক হতে পারে। ব্যাংক জালিয়াতি, বিমা জালিয়াতি, জালিয়াতি করে কর ফাঁকি, ব্যবসার নথিপত্রে জালিয়াতি নিয়ে তদন্ত বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনার কথা মিডিয়াতে উঠে আসছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ম্যারিল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলরা ব্যক্তিগত স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছেন। এসব নিয়েও তদন্ত শুরু হবে। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর ক্ষতিপূরণ মামলাও চাঙা হয়ে উঠবে। এছাড়া ট্রাম্পের ভাইয়ের মেয়ে মেরি ট্রাম্পের একটি মামলাও ঝুলে আছে তার বিরুদ্ধে। জালিয়াতি করে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করে আসছেন মেরি। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নানা আইনি সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ নিজের বিরুদ্ধে আনা আইনি অভিযোগ মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন। মার্কিন সংবিধানে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে অপরাধ থেকে পূর্ণ দায়মুক্তি দেয় কি না, এ নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন সুবিধা ব্যবহার করে আসছিলেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্ষমতা ছাড়ার আগে ট্রাম্প নিজেকে নিজেই ক্ষমা করার নির্দেশনায় স্বাক্ষর করতে পারেন। নিজেকে এমন ক্ষমা করার নির্দেশনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করতে পারেন কি না, এ নিয়েও সংবিধানে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই বা ইতিহাসে এমন কোনো নজিরও নেই।
কোনো কোনো মার্কিন সংবাদমাধ্যমে লেখা হচ্ছে, ২০ জানুয়ারির আগের দিনই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। এ সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবেই মাইক পেন্স ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়মুক্তি দিয়ে আদেশে স্বাক্ষর করবেন।নির্বাচনের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রহস্যময় নীরবতার কারণেই নানা কথা ডালপালা মেলছে। সিএনবিসির এ-সংক্রান্ত সংবাদে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দফা শীর্ষ প্রচার উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রথম বৈঠকে নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়েই আলাপ হয়েছে।গত বুধবারের সভায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ উপদেষ্টাদের সভায় ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, প্রচার ব্যবস্থাপক বিল স্টিফেন এবং উপদেষ্টা জেসন মিলার উপস্থিত ছিলেন। সিএনবিসি বলেছে, ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে বিজয়ী প্রার্থী জো বাইডেনকে অভিনন্দন না-ও জানাতে পারেন। হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলতে পারেন, ‘আমি নির্বাচনের এ ফলাফলে বিশ্বাস করি না। দেশের স্বার্থে এ ফলাফল নিয়ে আমি লড়াইও করছি না।’
প্রত্যয়ী বাইডেন :‘আমেরিকা ইজ ব্যাক’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই  বিশ্বের তামাম রাষ্ট্রনেতাদের প্রতি এমন বার্তা দিলেন জো বাইডেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের ম্যাজিক সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন থেকে শুরু করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, এমনকি ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনও। টেলিফোনে সৌজন্য বিনিময়ও করেন অনেকে। তার পরেই ডেলাওয়্যার প্রদেশের উইলমিংটন শহরে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘আমি ওঁদের জানিয়ে দিয়েছি যে, আমেরিকা আবার খেলায় ফিরছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই নতুন করে পথ চলতে চাইছি আমরা।’   
ক্ষমতা হস্তান্তরে জটিলতা :ট্রাম্প তার হার মেনে না নেওয়ার পাশাপশি আইনি লড়াইয়ের হুমকি দেওয়ায়, ক্ষমতা হস্তান্তর আদৌ সুষ্ঠুভাবে মিটবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে। কেবল ট্রাম্প নিজেই নন, ভোটের ফল নিয়ে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন তার বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োও। তার কটাক্ষ, ‘আগামী ২০ জানুয়ারি যে ভাবে হওয়ার কথা, সে ভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। প্রেসিডেন্ট যে-হেতু বদল হচ্ছে না, তাই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে।’ এ ভাবে ট্রাম্প শিবিরের তরফে লাগাতার পরাজয় অস্বীকার করাটা পরোক্ষে তাঁকেই বিব্রত করছে বলে এ দিন জানান বাইডেন।
তবে, ট্রাম্পরা যা-ই বলুন না কেন, বাইডেনকে জানানো বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছার ঢল কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। মাক্রোঁ বা ম্যার্কেলের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক বার খটাখটি লেগেছে। তাই এঁদের তরফে অভিনন্দনবার্তা আসাটা তেমন বিস্ময়কর নয়। কিন্তু ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বাইডেনের ফোনালাপ নজর কাড়ছে। সেই সঙ্গে সৌদির সমর্থন ট্রাম্পকে অনেকটাই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। সূত্রের খবর, জনসনের সঙ্গে মিনিট কুড়ি কথা হয়েছে বাইডেনের। পরে জনসন টুইট করেন, করোনা-মোকাবিলার পাশাপাশি বিশ্ব জলবায়ু নিয়েও বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে তিনি। ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ক বাইডেনের টিমও ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে এই সব বিষয়ে একযোগে পথ চলার ইঙ্গিত দিয়েছে। এ দিকে ট্রাম্প পেন্টাগনে ছাঁটাই পর্ব চালিয়েই যাচ্ছেন। গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত প্রতিরক্ষা দফতরের সচিবসহ অন্তত চার জনকে সরানো হয়েছে। এদের জায়গায় ট্রাম্প নিজের ‘অনুগত’ এবং ‘ঘনিষ্ঠদের’ বসাচ্ছেন বলে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে পেন্টাগনে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]