প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০, ৪:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আট মাস ধরে অফিস না করে ঢাকায় বসে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ কর্মস্থলে সর্বশেষ উপস্থিত ছিলেন আজিজুর রহমান। এরপর থেকে তাকে আর উপজেলায় দেখা যায়নি। আজিজুর রহমানকে একাধিকবার বলা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর সুপারিশ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
শাল্লা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজিজুর রহমান ২০১৮ সালে যোগদানের পরপরই মাসে দু-চারদিন হাজিরা দিতেন। গত ১৭ মার্চ থেকে আট মাসে তিনি একদিনও অফিস করেননি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, শিক্ষক, কর্মচারীদের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, শিক্ষাভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প তদারকি, উপবৃত্তি প্রদানসহ নানা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে শাল্লা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একটু বাইরে আছি। দু-একদিন পর অফিসে আসবো। অফিসে এসে আপনার সঙ্গে বসে চা খাব।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-আমিন চৌধুরী বলেন, উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে দেখছি না। প্রায় আট মাস ধরে তিনি কর্মস্থলে নেই। উনাকে একাধিকবার বলার পরও কর্মস্থলে রাখা যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আট মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে একাধিকবার সতর্ক করেও কাজ হয়নি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) জসিম উদ্দিন জানান, শাল্লার ইউএনও এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।