প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০, ৪:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম ব্যাচের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং ৩১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মােহাম্মদ আনিসুল করিম শিপন গত সোমবার (৯ নভেম্বর) মাইন্ড এইড হাসপাতাল, আদাবর, মােহাম্মদপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমন করলে হাসপাতাল কর্মীদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ হতে বিষয়টি সকলের নিকট সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসার্স ফোরাম-এর পক্ষ থেকে আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শােক প্রকাশ করছি এবং চিকিৎসার নামে এমন নির্মমতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জনাব মােহাম্মদ আনিসুল করিম শিপন-এর শােকসন্তম্ত পরিবারের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।
উল্লেখ্য, মােহাম্মদ আনিসুল করিম শিপন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৪ সালের ২১ নভেম্বর তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বাের্ডের অধীনে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১০ সালে প্রাণরসায়ন এ এমএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ৩১তম বিসিএস এ অসামান্য কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন তিনি। পুলিশ ক্যাডারে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যােগদান করেন। চাকুরিকালীন তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং সর্বশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী, বন্ধুবৎসল, পরােপকারী, অজাতশত্রু এবং নিরহংকারী একজন মানুষ। চিকিৎসাসেবার নামে মাইন্ড এইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এরকম নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা কোনােমতেই গ্রহণযােগ্য নয়। তাঁর মৃত্যুতে দেশ হারালাে সম্ভাবনাময় মেধাবী একজন কর্মকর্তাকে।