রূপপুরের বালিশকাণ্ড :ঠিকাদার আসিফের আরো এক মামলায় হাইকোর্টে জামিন
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২০, ১:৫৩ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক
‘বালিশকা-’ হিসেবে বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে করা পৃথক একটি মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার এক রায়ে আসিফ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আসিফ হোসেনের জামিন বিষয়ে গত ১০ মার্চ জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাকে জামিন দেওয়া হয়। আদালতে আসিফ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে আরেকটি মামলায় গত ২১ অক্টোবর আসিফকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন। এ অবস্থায় পৃথক মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আবাসন প্রকল্পে অস্বাভাবিক দামে বালিশসহ আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে গতবছর ১২ ডিসেম্বর পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। এরমধ্যে দুটি মামলায় আসামি করা হয় আসিফ হোসেনকে। এই দুই মামলায়ই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন তিনি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক মূল্যে আসবাবপত্র কেনা ও তা ভবনে উঠানোর খরচ দেখানোর অভিযোগে পাবনায় পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। গতবছর ১৬ মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য একটি বৈদ্যুতিক চুলার দাম ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭শ ৪৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬শ ৫০ টাকা, একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯শ ৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭শ ৩০ টাকা। একটি বৈদ্যুতিক কেটলির দাম ৫ হাজার ৩শ ১৩ টাকা যা তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৯শ ৪৫ টাকা।