মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
অধ্যক্ষ না থাকায় ভোগান্তিতে শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি বাউফল
প্রকাশ: সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

পটুয়াখালী বাউফলের সরকারি কলেজে নয় মাস ধরে অধ্যক্ষ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীরা যেমন ভোগান্তিতে পরেছেন তেমনি হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  বর্তমানে ২৭ জন প্রভাষক তিন মাস ও বার জন কর্মচারী নয় মাস ধরে বেতন বোনাস থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। 

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরের জন্য মাসের পর মাস কলেজের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।  জানাগেছে, ১লা জুলাই ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বাউফল ডিগ্রী কলেজটি ২০১৬ সালের ১২এপ্রিল জাতীয়করণ হয়। পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ যোগদানের র্পূব পর্যন্ত একই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম উপধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়ে পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২০সালের ১৫ জানুয়ারি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাউফল সরকারি কলেজে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর কর্মচারীদের বেতন  তার স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে উত্তোলন শুরু হয়। কিন্তু যোগদানের ১মাস ১০দিনের মাথায় তাকে ঢাকা ডিজি অফিসে বদলি করা হয়। এরপর অধ্যক্ষ হিসেবে কাউকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। 

অপরদিকে শিক্ষকরা তাদের নিজেদের স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে বেতন উত্তোলন করতো তাও তিন মাস পর্যন্ত বন্ধ হয়ে আছে। অধিকাংশ শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজটি এখন অভিভাবকহীন। একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কষ্ট লাগবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। আয়ন ব্যয়ন কর্মকর্ত (ডিডিও) নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলেও এখন অবদি সংশ্লিষ্ট তফতর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অধ্যক্ষ না থাকায় উন্নয়ন ফান্ডের টাকা নিদৃষ্ট সময় কাজে না লাগানোর জন্য ইতিমধ্যে ফেরত চলে গেছে। ছাত্র ছাত্রীর যত ধরনের টাকা ব্যাংকে জমা হচ্ছে সেসব টাকাও কলেজের কাজে ব্যয় করার জন্য তুলতে পারা যাচ্ছেনা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র প্রত্যয়ন পত্র সহ বিবিধ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ না থাকায় আজ তারাও হয়রানির স্বিকার হচ্ছে। যে কারনে মাসের পর মাস তাদের কলেজের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। অপরদিকে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা বেতন বোনাস না পেয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

একাধীক কর্মচারী জানান, স্যারেরাতো বেতন না পাইলেও প্রাইভেট পড়াইয়া চলেন; আমরা চলমু ক্যামনে? আমাদের এখন কৃষিকাজ কিংবা অন্য কোন কাজ করে পরিবারের ছেলে মেয়েদের ভরপোষনের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমরা আমাদের এই কস্ট থেকে মুক্তি চাই। আমরা কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]