প্রকাশ: সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুরের বাঘের বাজার এলাকায় চলন্ত বাসে এক নারী হকারকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকওয়া পরিবহনের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত চালকের নাম সাদ্দাম হোসেন। এ সময় পরিবহন শ্রমিক শরীফ হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাকওয়া পরিবহনের বাসটি জব্দ করে জয়দেবপুর থানায় নেয়া হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানায়, বিভিন্ন পরিবহনে চকলেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন ওই নারী হকার। গত শনিবার (৭ নভেম্বর) দিনভর কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনে চকলেট বিক্রি করে আসলছিলেন তিনি। রাত ৯টার দিকে চকলেট বিক্রির সময় তাকওয়া পরিবহনের চালক সাদ্দাম হোসেন ও শরীফ হোসেন বাসে করে তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে খালি বাস নিয়ে ফেরার পথে ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দেয় তারা। এ সময় ওই নারীকে গাড়ি থেকে না নামিয়ে জেলার বিভিন্ন রুটে নিয়ে ঘুরতে থাকে তারা। একপর্যায়ে গাড়িটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে ভান্নারা রোড দিয়ে জামালপুর থেকে গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর যাওয়ার পথে বাসের মধ্যে কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়।
পরে বাসটি নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মেম্বারবাড়ি এলাকায় গেলে নারীর চিৎকার শুনে টহলরত পুলিশ সেটিকে থামানোর সংকেত দেন। এ সময় বাসের সহকারী শরীফ হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চালক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে এবং তাকওয়া পরিবহনের বাসটি জব্দ করে পুলিশ। গতকাল সকালে ওই নারী বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদুল ইসলাম জানান, তাকওয়া পরিবহনের ওই বাসের গতিবিধি সন্দেহ হলে টহল পুলিশ বাসটি আটক করে। পরে নারী হকারকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চালক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার ও বাসটি জব্দ করা হয়। মামলার অপর আসামি শরিফ হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তাদের দু’জনের বাসা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ইটাহাটা এলাকায়। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায় এবং বর্তমানে ঢাকার আশুলিয়ায় বসবাস করে।