প্রকাশ: সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৩৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য (গাজীপুর ও টঙ্গী-২) প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭০তম জন্মদিন আজ (সোমবার)। ১৯৫০ সালের এই দিনে তিনি গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদে সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পরিবারের পক্ষ থেকে কবর জেয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। দুপুরে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চেরাগআলী ট্রাক স্ট্যান্ডে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে টঙ্গী নতুন বাজারস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেক কাটার মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু করে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পুত্র এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের জন্মদিনের সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি পদে থাকাকালীন সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে শহীদ হয়েছিলেন আহসান উল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনার পরদিন তার ছোট ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ অভিযোগপত্র দায়ের করে। ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেওয়া হয় দুই আসামিকে।
পরে ২০১৬ সালের ১৫ জুন আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার রায়ে ১১ জনকে খালাস দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ অন্য ছয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। বিচারিক আদালতে দণ্ড পাওয়া জীবিত ২৬ আসামির মধ্যে আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক থাকায় তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত। এসব আসামির মধ্যে ১৭ জন কারাগারে ও নয়জন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া দুজন মারা গেছেন।