প্রকাশ: সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০, ১:০৮ এএম আপডেট: ০৯.১১.২০২০ ১:২৭ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইনালে সুপারনোভাস : নারীদের টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের আইপিএলের ফাইনালে গেল সুপারনোভাস। গত শনিবার হরমনপ্রীতের দল ২ রানে ম্যাচ জিতে নিল। সুপারনোভাস এ দিন জেতার ফলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল ভেলোসিটি। আজ সোমবারের ফাইনালে সুপারনোভাসের সামনে ট্রেলব্লেজার্স। প্রথম ম্যাচে মিতালি রাজের ভেলোসিটির কাছে হেরে গিয়েছিল সুপারনোভাস। পরের ম্যাচেই ভেলোসিটিকে বিধ্বস্ত করে স্মৃতি মান্ধানার ট্রেলব্লেজার্স। তাদের বোলিংয়ের সামনে ভেলোসিটি ভেঙে পড়ে মাত্র ৪৭ রানে। পুরো ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি ভেলোসিটি। ৭.৫ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় ট্রেলব্লেজার্স। গতশনিবার ট্রেলব্লেজার্সের বিরুদ্ধে সুপারনোভাসের মরণবাঁচন ম্যাচ ছিল। সেই ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে গেল সুপারনোভাস। এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত। বেশ ভাল শুরু করেন সুপারনোভাসের দুই ওপেনার আটাপাট্টু ও প্রিয়া পুনিয়া। ট্রেলব্লেজার্সের বোলারদের আক্রমণ করেন আটাপাট্টু। অন্য দিকে প্রিয়া পুনিয়া স্ট্রাইক রোটেট করেন। বাংলাদেশের সালমা খাতুনকে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে দীপ্তি শর্মার হাতে ধরা পড়েন প্রিয়া পুনিয়া (৩০)। তার আগে অবশ্য দুই ওপেনার ৮৯ রান করেন। দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যান আটাপাট্টু। ৪৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পঞ্চাশ করেন তিনি। কিন্তু ফেরার পরে রানের গতি কমে গিয়েছিল।জেমাইমাকে (১) আউট করেন ঝুলন। শশীকলা (২) রান আউট হন। হরমনপ্রীত ২৯ বলে ৩১ রান করে রান আউট হন। রান আউট হন অনুজা পটেলও। শেষ ওভারে সুপারনোভাসের তিন জন রান আউট হন। ২০ ওভারে সুপারনোভাস করে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান। রান তাড়া করতে নেমে ট্রেলব্লেজার্সের শুরুটা ভাল হয়। ১৫ বলে ২৭ রান করে আউট হন ওপেনার ডটিন। রিচা ঘোষ প্রথম বলে বাউন্ডারি মারলেও দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন। স্মৃতি মান্ধানা দলকে টানছিলেন। অনুজা পাটিলের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ট্রেলব্লেজার্স ক্যাপ্টেন (৩৩)। হেমলতা মাত্র ৪ রান করেন। দীপ্তি শর্মা ও হারলিন ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই দ’জনের ব্যাটে জয়ের রাস্তা প্রশস্ত হলেও, শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন হারলিন (২৭)। আর তার ফলে ম্যাচও হারতে হল তাদের। কাজে এল না দীপ্তি শর্মার অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস। জয় থেকে মাত্র ২ রান পিছিয়ে ট্রেলব্লেজার্স থামল ১৪৪ রানে। তিনটি দল একটি করে ম্যাচ জিতলেও রান রেট ভাল থাকায় ফাইনালে পৌঁছল ট্রেলব্লেজার্স এবং সুপারনোভাস ।‘সাড়া জাগিয়ে নয়, মিনমিন করে’ :অনেক আশা জাগিয়ে শুরু হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের আইপিএল অভিযান। কিন্তু শেষ হল, টি এস এলিয়টের ভাষায় যাকে বলে, ‘সাড়া জাগিয়ে নয়, মিনমিন করে।’ প্রথম ১০ ম্যাচে সাতটাতে জয় পাওয়ার পরে মনে হচ্ছিল, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য ওরা পুরোপুরি তৈরি। এও মনে হচ্ছিল, এ বার হয়তো কাক্সিক্ষত আইপিএল ট্রফিটা আরসিবি জিততে পারবে। ২১ অক্টোবর কে কে আরকে ৮ উইকেটে বিধবস্ত করে সেই আশাকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল। তার পর থেকে পতনের ধ্বনি। পর পর ৫ পাঁচটা ম্যাচে হার। পাঁচ বার টস হেরে, পাঁচ বার আগে ব্যাট করে। পাঁচ বারই প্রত্যাশিত রান নেই স্কোরবোর্ডে। তাই অনিবার্য্র পরিণতি হার। এর পরে হতাশায় ডুবে যাওয়া। এলিমিনেটরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ভাল লড়াই হয়ে। প্রায় সমান-সমান অবস্থায় থাকা ম্যাচটা কয়েকটা ব্যাপারের জন্য ঘুরে গেল। প্রথমত: আবু ধাবির মন্থর পিচে ১৪০ রান যথেষ্ট মনে হওয়া। কিন্তু স্কোর বেডে যোগ হয় ১৩১ । তার পরেও আরসিবি দলের তিন স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অ্যাডাম জাম্পা দারুণ বল করে আরসিবিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে।
রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। সেই সময়েও ম্যাচটা যে কোনও দিকে যেতে পারত। কিন্তু দু’জন আন্তর্জাতিক অধিনায়কের ঠান্ডা মাথা এবং দক্ষতা হায়দরাবাদকে জিতিয়ে দেয়। কেন উইলিয়ামসন এবং জেসন হোল্ডার। এই দু’জনের জন্য হায়দরাবাদ এখনও ফাইনালের লড়াইয়ে আছে। দিনের পরে যেমন রাত আসে, আরসিবির পারফরম্যান্সের পরেও তেমন সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রশ্ন উঠছে মাঝের দিকের ব্যাটিং এবং শেষের দিকের বোলিং নিয়ে। তবে এখন দেখার বিষয় ২০২১ আইপিএলের জন্য তাদেও প্রস্তুতি কতটুকু ইতিবাচক হয়