শেখ হাসিনা করোনার সকল ধাক্কা সামলিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন: উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার
প্রকাশ: রোববার, ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবশ্যই বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। তা না হলে ১৯৭১-এ রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হতো না। বাংলার কৃষক ও শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে, ফসলে তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন উদ্বৃত্ত খাদ্য ও বৈদেশিক রেমিট্যান্সে ভরে উঠেছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় বাড়ছে। চাষাবাদের জমি দিন দিন কমলেও ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির মতো বাড়তি ফসল উৎপাদন করছে এ দেশের কৃষক। সামাজিক উন্নয়নে ভারতকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ছেন শেখ হাসিনা। এমন তৎপরতাই বাংলাদেশের সামনে অফুরন্ত সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। শেখ হাসিনার গুণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধির গল্প আজ বিশ্বজুড়ে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৫২ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (৮ নভেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেকুলার বাংলাদেশ, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড এর সভাপতি এবং সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রহমান খলিলুর মামুন। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বলেন, আমরা একটা অনিশ্চিত পৃথিবীর মধ্যে অনিশ্চিত সময় পার করছি এখন। যখন সারা পৃথিবীতে একটা অচেনা অদেখা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি আমরা। এতো বড় একটা মহামারীর মধ্যেও কিন্তু আমরা একটা সুখের অবস্থায় বিরাজমান আছি। আমাদের সাম্প্রতিক সময়ে বেস কিছু অর্জন এই মহামারি সময়ে নতুন করে বাচার আশা যোগাচ্ছে। যেখানে সারা পৃথিবী হতাশায় ঝুলছে, এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের এই ভয়াবহ হারের পিছনেও এই মহামারি করোনাকে দায়ী করা হচ্ছে, সেখানে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে আছি। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে পৃথিবীর অন্নতম একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজ চালিয়ে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে চমক দেখিয়ে যাচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে যে যে মহামারি চলছে যা কিনা সারা বিশ্বের সবচে শক্তিশালী দেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে উলট-পালট করে দিয়েছে সেখানের আমাদের মত দেশে আমদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার সকল ধাক্কা সামলিয়ে সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে দিচ্ছে। অতি সম্প্রতি আমাদের উন্নয়ন সূচক নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে, তা কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে পউছাচ্ছে না। সাধারণ মানুষ শুধু এটা দেখেছে যে, তারা চাল-ডাল পাচ্ছে কিনা, খাবারের অভাবে কেউ মারা যাচ্ছে কিনা, চিকিৎসার অভাব হচ্ছে কিনা। আমাদের যে অর্থনৈতিক কাঠামোর যে শক্তি রয়েছে এটার মধ্য থেকে এই মহামারি মোকাবেলায় এই সমস্যা গুলো বাংলাদেস সম্মুখীন হয়নাই। পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন করা এ দেশটার মানুষ আগে থেকেই দুঃসাহসী। ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে দেশে যেমন মানুষ থেমে ছিল না, যার যার কাজ করেছে, প্রবাসীরাও হাত পা গুটিয়ে বসে ছিলোনা বলেই আজ রেমিট্যান্স, রিজাভ, রাজস্ব বাড়ছে। দুঃসময়ে পোশাক কারখানা গুলো আশার আলো দেখাচ্ছে। বায়ারগণ ঝুঁকছেন বাংলাদেশের দিকে। আমাদের সাহসিকতা, সব পরিস্থিতিতে কাজ করার ইচ্ছা শক্তি আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে, এগিয়ে নিবে গোটা দেশকে। বাংলাদেশ এখন আর হেনরি কিসিঞ্জারের 'তলাবিহীন ঝুড়ি' নয়। ইতোমধ্যে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল কিছু কিছু পণ্যের জন্য ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। আমাদের রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক শ্রম বাজার। এছাড়া কর্পোরেট ট্যাক্স, ভ্যাট কমানোসহ কর অব্যাহতি; দ্রুত ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু; ভূমি অধিগ্রহণ সুবিধা ও ব্যাংকিং জটিলতা নিরসনসহ একগুচ্ছ প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে দেয়া আছে। সেগুলোর বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বিদেশিরা খুবই আত্মবিশ্বাসী হবেন। সুতরাং যে সম্ভাবনার বাংলাদেশে বা উন্নয়নের বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে এটা শুধু উন্নয়ন নয়, একটি দুঃখের, কষ্টের এবং একটি অনিশ্চিত সময়েও বাংলাদেশের কোন দুরবস্থার মধ্য দিয়ে যায়নি।