প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে দেশ আজ করোনা সংকট মোকাবিলায় সফল: আফজালুর রহমান বাবু
প্রকাশ: রোববার, ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবশ্যই বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। তা না হলে ১৯৭১-এ রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হতো না। বাংলার কৃষক ও শ্রমিকের শ্রমে-ঘামে, ফসলে তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন উদ্বৃত্ত খাদ্য ও বৈদেশিক রেমিট্যান্সে ভরে উঠেছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় বাড়ছে। চাষাবাদের জমি দিন দিন কমলেও ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির মতো বাড়তি ফসল উৎপাদন করছে এ দেশের কৃষক। সামাজিক উন্নয়নে ভারতকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ছেন শেখ হাসিনা। এমন তৎপরতাই বাংলাদেশের সামনে অফুরন্ত সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। শেখ হাসিনার গুণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধির গল্প আজ বিশ্বজুড়ে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৫২ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (৮ নভেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেকুলার বাংলাদেশ, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড এর সভাপতি এবং সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রহমান খলিলুর মামুন। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ধন্যবাদ আমাকে আজকের ভোরের পাতা সংলাপে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আসলেই এটি বিড়ল ঘটনা যে, সারা পৃথিবী যখন এই করোনা সময়ে বিপর্যস্ত হয়ে আছে, সবাই যখন এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, মানুষ চাকরী হারাচ্ছে, তখন সেই মুহূর্তে আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সক্রিয় রেখে আমাদের জননেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকাকে যেভাবে শক্ত হাতে ধরে রেখে তা বেগবান রাখছেন তা আসলেই অতুলনীয়। করোনা মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে রীতিমতো ধস নামিয়েছে। অনেক দেশেরই জিডিপির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও করোনা আঘাত হেনেছে। রফতানি আয় কমে গিয়েছিল। রাজস্ব আদায়ের হার কমেছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে। চাকরি হারিয়েছে লাখো মানুষ। দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কি পারবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যেতে- সৃষ্টি হয়েছিল এমন প্রশ্ন বা সন্দেহের। তা কেটেছে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এবং সরকারের যৌথ পর্যবেক্ষণে। পৃথিবীতে অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। আজকে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। অনেক দেশেরই জিডিপির প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও করোনা আঘাত হেনেছে। রফতানি আয় কমে গিয়েছিল। রাজস্ব আদায়ের হার কমেছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমেছে।। দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশা করা যায়, ২০২৪ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে। অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। বিদ্যুতে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। করোনার মধ্যেও বর্তমান অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রফতানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তৈরি পোশাক রফতানি ছাড়া অন্যান্য খাতেও রফতানি বাড়ছে। বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৬৬টি দেশে। ‘করোনার কারণে রফতানি প্রক্রিয়ায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও গত দুই মাসে আমাদের আশাব্যঞ্জক রফতানি হয়েছে। আমরা কিন্তু কামব্যাক করতে শুরু করেছি। সব খাতে আমাদের এইযে সামগ্রিক উন্নয়ন হয়েছে, এই যে প্রান্তিক লেভেলে এভাবে দেশের গরীব মানুষদের যেভাবে সাহায্য করা হয়েছে এটা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব বলেই সম্ভব হয়েছ। করোনা পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একক বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এই সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন বাস্তবমুখি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই সব পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।