প্রকাশ: রোববার, ৮ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে রবিবার রাতে এক তরুনীকে (১৯) উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সে নাটোর জেলা শহরের দরিদ্র কৃষকের মেয়ে। মোবাইল প্রেমের শিকার হয়ে ৭ মাস আগে সে এখানে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় পল্লীর বাড়ীওয়ালী রোজিনা বেগমকে (২৯) গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পল্লীর বাসিন্দা সুমন মন্ডলের স্ত্রী।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া তরুনীর সাথে অজ্ঞাত এক যুবকের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুনী ওই যুবকের কাছে তার পরিবারের অসহায়ত্বের কথা জানালে সে তাকে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরী দেয়ার কথা বলে আশ্বস্ত করে। এর সুত্র ধরে ওই যুবকের কথা মতো তরুনী চলতি বছরের মার্চ মাসে ট্রেন যোগে নাটোর থেকে দৌলতদিয়া রেলওয়ে স্টেশনে আসে। এরপর স্টেশন থেকে তাকে কৌশলে ওই তরুনীকে যৌনপল্লীর বাড়ীওয়ালী রোজিনা বেগমের কাছে বিক্রি করে সেই যুবক পালিয়ে যায়। রোজিনা তাকে পল্লীর একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা শুরু করায়। গত ৭ মাসে সে বহুবার পল্লী থেকে পালানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। শিকার হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের।
এদিকে শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে ওই তরুনী রোজিনা বাড়ী থেকে কৌশলে বের হয়ে দৌড়ে পল্লীর বাইরে চলে আসে। এ সময় রোজিনা ও তার ভাড়াটে লোকজন তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। কিন্তু তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। ছুটে আসে পাশে থাকা থানা পুলিশের
টহল দল। তারা তরুনীকে উদ্ধার ও রোজিনাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উদ্ধার হওয়া তরুনী বাদী হয়ে রোজিনা বাড়ীওয়ালী ও অজ্ঞাত আরেক জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। আটক রোজিনাকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।