প্রকাশ: রোববার, ৮ নভেম্বর, ২০২০, ৬:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রথমে প্রেম, পরে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ। এরপর ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় পাবনার আটঘরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলার পরে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের ষাটগাছা গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার ষাটগাছা গ্রামের আব্দুল খালেকের লম্পট ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৪) বাড়ির পাশের জনৈক ব্যক্তির ৭ম শ্রেণীতে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর প্রেমের সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে চলতি বছর ৩ মার্চ তারিখে ঐ স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপরেও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও জানা যায়, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটি বিয়ের জন্য মিরাজুলকে প্রস্তাব দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এরপর গত ৪ নভেম্বর ঐ স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারি পরিক্ষা করা হলে তার পেটে ২৫ সপ্তাহের বাচ্চা দেখা যায় বলে চিকিৎসক জানান। পরে ৬ নভেম্বর ঐ স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মিরাজুল ইসলামের নামে আটঘরিয়া থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) (০৩) এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরেই তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিরাজুলকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।