মামলা সূত্রে জানা গেছে, মিলন মিয়ার ছেলের সঙ্গে তিন বছর আগে পাশের গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী ট্রাকের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করে। যে কারণে গৃহবধূর স্বামী ২০-২১ দিন পর পর বাড়ি আসে। এই সুযোগে পুত্রবধূর ওপর নজর পড়ে শ্বশুরের। ছেলে বাড়িতে না থাকলে প্রায়ই পুত্রবধূর ঘরে প্রবেশ করে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। কিন্তু পুত্রবধূ জেগে উঠলে শ্বশুর পালিয়ে যেত।
পরে কৌশল পাল্টে শ্বশুর পুত্রবধূকে গাভীর দুধের সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে দিতো। পরে অচেতন অবস্থায় পুত্রবধূকে ধর্ষণ করতো। গত ২৬ জুলাই গৃহবধূ ঘুমানোর ভান করে থাকলে গভীর রাতে শ্বশুর মিলন মিয়া পুত্রবধূর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করলে সে কৌশলে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়।
এরপর গত রোববার সন্ধ্যায় গৃহবধূ বাদী হয়ে শ্বশুর মিলন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ ওই রাতেই তাকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান।