প্রকাশ: বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০, ১০:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার টেকনাফ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে টেকনাফ নৌ পুলিশ। যদি নিষেধাজ্ঞা আজ ৪ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল।
জানা যায়, বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১.০০ টার সময় অভিযান পরিচালিত হয়। ইন্সপেক্টর মো:আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে এই অভিযানটি পরিচালিত হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফে নৌ পুলিশ। তেশরা নভেম্বর থেকে এই অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে বলে ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল্লাহ নিশ্চিত করেন।এইদিকে জেলেরা দীর্ঘ ২২ দিন সাগরে মাছ ধরতে না পারায় সময় মত ছেলে মেয়েদের মুখে ভাত তুলে দিতে পারেনি। সরকারের পক্ষ থেকে চাল দেওয়ার বরাদ্দ থাকলেও এখনও জেলেদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। অভাব-অনটনে খুব কষ্টের সংসার চালিয়ে যাচ্ছে এমনটি জানিয়েছে গরিব অসহায় জেলেরা।
সরকারের ঘোষিত ২২ দিন বন্ধ শেষ হতে না হতেই নৌ পুলিশের এমন অভিযান জেলেদের খুব ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আর্থিক সংকটের খুবই প্রভাব ফেলেছে জেলেদের জীবনে। অসহায় জেলেরা অভিমানে কান্না স্বরে বলেন সরকার ২২ দিন বন্ধ ঘোষণা না করে ৬ মাস ঘোষণা করলে আরো বেশি ভালো হতো হয়তো আমাদের কষ্টে অর্জিত জালগুলো পড়ানো হতো না।
এদিকে জেলার বিভিন্ন এনজিও এবং সুদের টাকা নিয়ে এইসব জাল তৈরি করে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানিয়েছেন। প্রস্তুতি শেষ হতে না হতেই নৌ-পুলিশের এমন নিষ্ঠুর অভিযান তাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। বাহারছড়ার জেলেরা বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য বিভাগের ঘোষিত সমস্ত আইনকে সম্মান করে নীরবে কষ্ট ভোগ করে সরকারের ঘোষিত ৬৫ দিন এবং ২২ দিনের বন্ধ আনন্দের সাথে পালন করে।সরকারের বরাদ্দ থাক আর না থাক কষ্ট করে সংসার চালান জেলেরা। তারপরেও নৌ পুলিশের এমন নিষ্ঠুর অভিযান মোটেও ভালো হয়নি বলে মনে করেন সচেতন মহল।
জেলেরা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নৌ পুলিশের এমন নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানায়।
নৌ পুলিশ এমন নিষ্ঠুর আচরণের জেলেরা মরণঘাতী ইয়াবার দিকে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমনটি মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। দেশ ও জাতিকে মরণঘাতি নেশা ইয়াবার লোভ লালসা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে জেলেদের সাগরের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
টেকনাফের জেলেদের নেতাগণ মন্তব্যে বলেন, জেলেরা সাগরে গিয়ে স্বাধীন ভাবে মাছ ধরতে না পারলে কি করে সংসার চালাবে। পেটের দায়ে তারা হয়তো কোনো অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যেতে পারে তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন মাছ ধরার স্বাধীনতা চাই।