প্রকাশ: বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০২০, ৯:১৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, যারা সংবিধান বিরোধী কাজ করে তাদেরকে যদি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আওতায় আনা না হয় তাহলে রাষ্ট্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরূদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে।
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আয়োজনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয় বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ও জেলহত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বেগম খালেদা জিয়া। তারা দুজনেই হত্যার রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতেই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপি ও জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল নয়, তারাই হত্যা ও অপরাজনীতির ধারক - বাহক।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, কমিশন গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার নাটের গুরুদের খুঁজে বের করতে হবে।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অা ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।