খুলনায় একদিনে তিনটি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডুমুরিয়ায় স্কুলছাত্রী, বটিয়াঘাটায় মাদরাসাছাত্রী ও নগরীর খালিশপুরে গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
পৃথক এসব ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নগরীর খালিশপুর বাংলার মোড় এলাকার এক গৃহবধূ পাওনা টাকা আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নতুন রাস্তা বাঁশপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে রাব্বি (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ওই গৃহবধূ মতি নামের এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে সোমবার রাতে বাসা থেকে বের হন। বাঁশপট্টির সামনে গেলে তিন-চারজন যুবক গাড়ি থেকে নেমে গৃহবধূর পথ আটকে বাঁশপট্টির ভেতরে নিয়ে যান।
সেখানে রাব্বি নামে এক যুবক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই গৃহবধূর মা রাব্বিকে প্রধান আসামি করে তিন যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, ডুমুরিয়ায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী (১১) প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা দুজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার বানিয়াখালী এলাকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে উলা দক্ষিণপাড়া এলাকার রেজাউল সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২১) ও ফারুক হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২১) প্রেম নিবেদন করে আসছিলেন।
তারই সূত্র ধরে রোববার সকালে মোবাইল ফোনে ডেকে ওই ছাত্রীকে সাব্বির হোসেন বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে নিয়ে সাব্বির সরদার মেয়েটিকে বন্ধু সাব্বির হোসেনের সহায়তায় ধর্ষণ করেন।
এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে অসুস্থ অবস্থায় মোটরসাইকেলযোগে বানিয়াখালী বাজারে ছাত্রীকে রেখে আসেন সাব্বির। বিষয়টি জানাজানির পর ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। যার মামলা আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে এক মাদরাসাছাত্রী (১২) তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে বটিয়াঘাটার বিরাট বাজারের স্থানীয় যুবকরা অভিযুক্ত অজিয়ার মোল্লাকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেন। অজিয়ার বটিয়াঘাটার কুলটিয়া গ্রামের বাহের মোল্লার ছেলে।
ভান্ডারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।