এ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, আমি প্রথমেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদ, জেলখানায় শহীদ ৪ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা শুরু করছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কোনো বিপথগামী সেনাসদস্যদের দ্বারা সংগঠিত হয়নি। এটা ছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তির নির্মম প্রতিশোধ। জিয়াউর রহমান কোনোভাবেই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর নিন্ম আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের রায় পাই। এরপরই আমরা জেলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু করি। আমরা একসাথে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং জেলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করি নাই। আজকের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিরাজুল ইসলাম, প্রয়াত সাহারা খাতুন, মোশাররফ হোসেন কাজল সবাই মিলে মামলা লড়েছি। জেলখানা হত্যাকাণ্ডের পরই লালবাগ থানায় মামলা হয়েছিল। তখন মামলাটি আর অগ্রসর হয়নি। এরপর আমরা যখন মামলা লড়ছিলাম, তখনই ২০০১ সালে আবারো বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমাদের ৪ জনকে প্রসিকিউটর হিসাবে নিয়োগ দেয়ার পর নানা ধরনের প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে। আমাদের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আমাদের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম ভাইয়ের অনুরোধে কাজ শুরু হয়েছিল ঠিকই। আমি তখন নিয়মিত আদালতে যেতাম। আদালতে ১৬৪ ধারায় সাক্ষীরা যে বক্তব্য দিয়েছিল, তার বিপরীত কথা তুলে ধরেছিল সাক্ষীরা। সাক্ষীদেরও নানা চাপে রাখা হয়েছিল। খালেদ মোশারফের ভাই রাশেদ মোশরাফকেও উল্টো কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর আমরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করি। এরপর ২০০৪ সালে এই মামলার ষড়যন্ত্রকারীকে ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে তাহের উদ্দিন ঠাকুর, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, ওবায়দুর রহমান, নুরুজ্জামানকে আমরা বিচারের কাঠগড়ায় আনতে পারিনি। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করতে পারিনি।