প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০, ৮:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে সাগরে যাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে বরগুনা উপকূলের প্রায় ৩৬ হাজার জেলে।
২২ দিন অপেক্ষার পরে বরগুনারসহ উপজেলায় জেলার বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছ শিকারের উদ্দেশে সাগরে যাত্রা শুরু করবে জেলেরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটায় ও তালতলীতে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বাজারসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন শেষ। বুথবার সকাল খেকেই জেলেরা সাগরে যাত্রা শুরু করবে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার সময় নিবন্ধিত ৩৬ হাজার ২৫৪ জন জেলেকে জনপ্রতি ২০ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে সব জেলেরা মাছ শিকার করছে তাদের অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্ট এর আওতায় আনা হয়েছে। এ জেলায় ৫ জনকে ৭ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার।
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে উপকূলের ফিশারি ঘাট গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, নদীর মোহনায় নোঙর করা আছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে সাগরে মাছ শিকারে যায়নি এসব ট্রলার।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার দিন শেষ হওয়ায় ফের সাগরে জাল ফেলার অপেক্ষায় খোশ মেজাজে রয়েছে এ উপকূলের জেলেরা। এখন তারা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে জেলেরা নিজ নিজ ট্রলারে জাল ও মাছ শিকারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে ধার-দেনা করে। স্থানীয় মুদি দোকান থেকে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পরিমান মতই বরফ নিয়ে সংরক্ষণ করে রাখছে ট্রলারে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সিমিতির সভাপতি চৌধূরি গোলাম মোস্তফা জানান, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে জেলে পল্লীর জেলেদের মাত্র ২০ কেজি চাল দিয়ে চলছিলো তাদের সংসার। পল্লী গুলোতে জেলেদের পরিবারগুলো এই ২২ দিন অভাব-অনাটনের মধ্যে দিন কেটেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকার না করে দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটিয়েছে জেলেরা। ২২ দিন পরে সাগরে ও নদীতে ইলিশ শিকার করতে পারবে বলে জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।