প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০, ৮:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কাঠমিস্ত্রি খলিলুর রহমান। তিনি এক সন্তানের বাবা। কিন্তু পরিচয় গোপন রেখে মোবাইলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের ফাঁদ পাতেন। সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের সময় খলিলুর রহমানকে হাতেনাতে ধরে প্রতিবেশীরা। পরে সারারাত তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউপির সেঙ্গুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে খলিলুর রহমানকে আটক করে র্যাব ও পুলিশ। আটক খলিলুর রহমান একই উপজেলার আলীনগর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বজনরা জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী কৃষক পরিবারের মেয়ে। খলিলুর রহমানের বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের ফাঁদ পাতেন খলিলুর।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার রাতে ওই ছাত্রী বাড়িতে একা ছিলেন। এ সুযোগে ছাত্রীর বাড়িতে আসেন খলিলুর রহমান। পরে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকারে ওই ছাত্রীর মামা ঘরে ঢুকে এ দৃশ্য দেখতে পান। একপর্যায়ে খলিলুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা ধরে মারধরের পর সারারাত গাছে বেঁধে রাখে।
আরো পড়ুন: কুড়িয়ে পাওয়া মোবাইলে নিজ মেয়ের ধর্ষণের ভিডিও পেলেন বাবা
স্থানীয় নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষারসহ পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশীর হাতে আটক খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।