শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ অত্যন্ত সাহসী এবং তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি এবং বিজয়ী হয়েই বিশ্ব অঙ্গনে চলব। আমরা এই সম্মান অর্জন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বিত্তবান লোকদের নিজ নিজ এলাকায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর মাধ্যমে সেই অঞ্চলের লোকেরা আরও উন্নত জীবন লাভ করতে পারবে।
‘একা ভালো থাকা মোটেও মানবিকতা নয়,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষে গৃহহীন মানুষদের বাড়িঘর সরবরাহের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মুজিব বর্ষে দেশের প্রতিটি বাড়ি আলোকিত করার উদ্যোগ নেব, আমরা সে দিকে পরিকল্পনা নিয়েছি এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজও করছি।’
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার এখন সকলের পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্যের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখতে সকলকে আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ওপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশজুড়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। ‘আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছি।’
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জনকল্যাণে সরকারের নেয়া অনেক উদ্যোগ স্থগিত রয়েছে। তবে সরকার কাজ করছে, গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিক সহায়তা যাতে পৌঁছতে পারে তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করা তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য, কারণ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি তার জীবনের সব কিছু হারিয়েছেন।
‘এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সেটা হবে আমার জীবনের সাফল্য। আমি কখনই ভাবিনি যে আমি কী অর্জন করেছি বা পাইনি। দেশের মানুষকে আমি কি দিতে পারলাম সেটাই আমার কাছে আসল,’ বলেন তিনি। ইউএনবি