প্রকাশ: শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১২:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁর আত্রাইয়ে সবজির লাগামহীন দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের সাধারন মানুষরা। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, খেটে-খাওয়া মানুষরা চরম বিপাকে পড়েছে। ৫০-৬০টাকা কেজি দরের নীচে উপজেলার গ্রামীণ বাজারগুলোতে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
মাঠ পর্যায় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রেতারা সরকারের বেধে দেওয়া মূল্য অমান্য করে চড়া দামে সবজি বিক্রি করায় এই লাগামহীনতা আরো চরমে পৌছেছে।
স্থানীয় পাইকাররা বলছেন, প্রতি বছর এই সময়ে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি কৃষকরা গ্রাম পর্যায় থেকে বাজারে আনলেও বন্যা আর দফায় দফায় অতিবৃষ্টির কারণে আগাম জাতের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই বাজারে সবজির আমদানী কমে যাওয়ায় চড়া দামে বাধ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাররা।
উপজেলার ভবানীপুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে সবজি চাষীরা বৃষ্টির কারণে আশানূরুপ সবজি চাষ করতে পারেনি। তাই বাজারে আমদানী কম হওয়ায় পাইকারী কেনা দরের চেয়ে সামান্য কিছু লাভ হাতে রেখে আমি সবজি বেচা- কেনা করছি। লাগামহীন ভাবে প্রতি দিনই সবজির দর বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে বেচাকেনা করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে মনোমালিন্যসহ বাকবিতন্ডার মতো ঘটনা ঘটছে। তার পারও গত সপ্তাহ চেয়ে এই সপ্তাহে সবজির বাজার কিছুটা কমেছে।
সবজি ব্যবসায়ী নয়ন বলেন সরকারি বেধে দেওয়া আলুর প্রতি কেজির দর ৩৫টাকা হলেও আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪০টাকা। পটল, করলা ও বেগুন ৬০টাকা দরে, পেঁয়াজ ৮০, কপি ১০০, শিম ১২০, কাঁচা মরিচ ১৬০টাকা কেজি বিক্রি করছি। কারণ আমরা কিনছি বেশি দামে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে স্বাভাবিক পর্যায় আসতে আরো দেরি হবে। আবু বক্কর সিদ্দিক, আফজাল ও বাবু জানান, করোনাকালীন সময়ে এমনিতে আমাদের হাতে কাজ কর্ম নেই। তারপর বাজারে নিত্যপন্য দ্রব্যের মূল্য উর্ধ্বগতি হওয়ায় আমরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকারি ভাবে যদি খোলা বাজারে আলুসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যগুলো বিক্রয় করা হতো তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম জানান, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন হাট ও বাজারে অভিযান চলমান আছে। সরকারি বেধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে অধিক দামে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।