প্রকাশ: শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
গ্রিস ও তুরস্কে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জনই তুরস্কের। ভূমিকম্পের পর সুনামিতে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। খবর রয়টার্সের
শুক্রবার এজিয়ান সাগরের উপকূলে তুরস্কের ইজমির প্রদেশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। গ্রিসে আঘাত হানে স্যামোস অঞ্চলে। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের সবাই উপকূলীয় অঞ্চলের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭৮৬ জন।
অন্যদিকে গ্রিসের স্যামোস দ্বীপে অল্পবয়সী দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নারী, একজন পুরুষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইজমির শহরে ধসে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে তল্লাশি চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ভূমিকম্পের সময় তুরস্কের ইস্তাম্বুল, ইজমির ও অন্যান্য শহরের বাসিন্দারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। একই দৃশ্য দেখা যায় গ্রিসেও।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু এক টুইটে বলেছেন, ইজমিরের বায়রাকলি এবং বোর্নোভা জেলায় অন্তত ছয়টি ভবন ধসে পড়েছে। এছাড়া এই ভূমিকম্পে উসাক, দেনিজলি, মনিসা, বালিকেসির, আয়দিন এবং মুগলা প্রদেশেও হালকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
অপরদিকে গ্রিসের স্যামোস দ্বীপে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষের বাস। তাদের সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।