প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৮:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পুরনো ফাইলগুলো সক্রিয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তালিকায় আছে তাদের স্ত্রী, সন্তান ও নিকট আত্নীয়দের নাম। বিশেষ করে যাদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এদের কঠোর নজরদারির আওয়তায় আনার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র উচ্চপর্যায় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। দুদকের তদন্ত ও অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তদন্তের অগ্রভাগে রয়েছেন এমন এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানান, কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফাইল নিষ্ক্রিয় ছিল। দুদক সম্প্রতি এসব ফাইল নিয়ে নিবিড় অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে। তদন্তের এক পর্যায়ে কয়েকজন চিকিৎসকের দেশ-বিদেশে বিপুল অর্থ-সম্পদের তথ্য মিলেছে, যা অনেকটা পিলে চমকানো। কারো কারো ১০ টির বেশি ফ্লাট রয়েছে। নিজের নামে, স্ত্রী-সন্তানের নামে আবার আত্নীয়র নামেও কিনে রেখেছেন। এ কর্মকর্তা জানান, অনেকের বিদেশে ব্যাংক একাউন্টও রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই একাউন্টগুলো নিয়মিত নয়।
দুদকের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন দপ্তর বা হাসপাতালে কেউ কেউ ৫-১০ বছর পর্যন্ত টানা পরিচালক থেকে বিভিন্ন পদে দায়িত্বে ছিলেন। এদের অনেকে তাদের কর্মকালীন ফাইল গায়েব করে দিয়েছেন। অনুদানের টাকা লোপাট করেছেন এমন কয়েকজনের বিষয়ে প্রয়োজন তথ্য উপাত্তের পাশাপাশি পাওয়া গেছে অডিও রেকর্ডও। রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত। এসব কর্মকর্তাদের বেশিরভাগরই নিজের চেয়ে স্ত্রী-সন্তানের নামে সম্পদ করে রেখেছেন। তবে তাদের মধ্যে চারটি অভিযোগের তদন্ত অনুসন্ধানের পর বিভিন্ন কারণে থমকে যায়। এসব ফাইল গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে দুদকের হাইকমান্ড।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, অভিযোগের মধ্যে কোনো কোনো কর্মকর্তার ফাইল নিষ্পত্তি হয়েছে। কিন্তু তাদের স্ত্রী-সন্তানের ফাইল রয়ে গেছে তদন্তের আওতায়। আবার তদন্তে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সঙ্গে যেকোনো ধরণের তথ্য প্রমাণ না পাওয়া যাওয়ায় দায়মুক্তিও দেয়া হয়। কিন্তু দায়মুক্তি পেয়েছে এমন কর্মকতার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। কেনো কোনো পরিবারে স্বামী-স্ত্রী দুজনই দায়মুক্তি পেয়েছেন। যাদের হাতে দায়িমুক্তি পাওয়ার চিঠি রয়েছে তাদের বিষয়ে দুদকের তেমন কোনো নজর নেই। কিন্তু কয়েকটি ফাইল নিয়ে দুদকের একেবারে হার্ডলাইনে যাচ্ছে। যা দৃশ্যমান তদন্ত বলে বিবেচিত হবে।