প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৮:২৬ পিএম আপডেট: ৩০.১০.২০২০ ৮:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জয়পুরহাটে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও তালাক দেয়ার পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী। সহায়তাকারী হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়েছে শ্বশুর, শাশুড়িকেও। ওমান প্রবাসী আবু হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক হয় আশুলিয়ার পলাশবাড়ি গ্রামের এক তরুণীর। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও তিন মাস আগে হাসানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পরই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে হাসান। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার বৈঠক হলেও মেলেনি সমাধান। উল্টো মোহরানার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ পাওনা পরিশোধের কথা বলে তালাকপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয় ওই গৃহবধূকে। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনলাইন ভার্সনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রাফিয়া আক্তার রাফি বলেন, ‘২ লাখ টাকা যৌতুক চায়। না দেয়ার কারণে আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। তিন মাস আগে আমাকে ডিভোর্স দেয়। এটা জানার পরে আমি থানায় এসে ধর্ষণ মামলা করি।’
অসহায় গৃহবধূর ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে উল্টো চাঁদাবাজির মামলা দেয় হাসানের পরিবার।
জয়পুরহাট নারী জাগরণের সভাপতি শাম্মীম আজিজ সাজ বলেন, ‘মেয়েটিকে তারা গোপনে ডিভোর্সও দিয়ে দেয়। এরপর তিন মাস সংসার করার পর মেয়েটি জানতে পারে তাকে ডিভোর্স দেয়া হয়েছে। এজন্য আমরা ছেলেটির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছি।’
এরইমধ্যে হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন গৃহবধূ। মামলায় আসামি করা হয়েছে শ্বশুড়-শ্বাশুড়িকেও। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবিরের।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু তালাক দেয়ার পর স্বামী-স্ত্রীর সংসার বা মেলামেশার সুযোগ নেই, সেহেতু সে একটি ধর্ষণ মামলা করে। আমরা মামলাটি রেকর্ড করেছি। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমার দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’ তবে এখনো আসামিরা ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান গ্রামবাসী।