প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৭:১০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সেন্টু (৩৯) নামে এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠান।
সেন্টুর বিরুদ্ধে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে এক স্কুলছাত্রী সম্প্রতি আত্মহত্যাও করেছে বলে জানা গেছে।
শরিফুল ইসলাম সেন্টু মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা সদরের মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে এবং দৌলতপুর পিএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক।
নারী কেলেঙ্কারির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাকে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি উপজেলা বিএনপির নেতা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ স্বামী-সন্তান নিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। শরিফুল ইসলাম সেন্টু বুধবার দুপুরে গৃহবধূর স্বামীর খোঁজে ওই বাসায় যান। এ সময় তার দশ বছরের ছেলে ঘরের দরজা খুলে দেয়।
ওই গৃহবধূ নামাজ পড়ায় ছেলেকে সিগারেট ও আইসক্রিম আনতে দোকানে পাঠান সেন্টু। নামাজ শেষ হলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ছেলে বাসায় ফিরলে দরজা খুলেই দৌড়ে পালিয়ে যান সেন্টু।
এ ঘটনায় রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সেন্টুকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার গিলন্ড এলাকা থেকে সেন্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজাতে পাঠান।
জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও ওসি জানান।
এদিকে শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার দায়ে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় সেন্টু জামিনে রয়েছেন। তবে এক সপ্তাহ আগে ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
আরেক স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ রয়েছে শরিফুল ইসলাম সেন্টুর বিরুদ্ধে। এছাড়া বিএনপির রাজনীতি করা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি মামলা ছাড়াও চাঁদাবাজি ও মারামারির মামলা রয়েছে।