প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দুই মেয়েকে নিয়ে সুখ দুখে ভালই চলছিল পত্রিকা এজেন্ট ও বিক্রেতা জুয়েল রানা ছোট সংসার। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়েকে নিয়ে জুয়েল রানার ছিল অনেক স্বপ্ন। মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করার প্রত্যয় ছিল জুয়েলের মনে প্রাণে। পত্রিকা বিক্রি করে যা আয় হতো তার বেশির ভাগ খরচ করতো ছোট মেয়ে জিনিয়ার জন্য।
বছর খানিক জিনিয়ার শারিরীক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। রাত করে জ্বর আসতো, সাথে শুরু হয় খুসখুসে কাশি। জুয়েলের ধারনা ছিল ঠান্ড লেগে এ উপসর্গ হচ্ছে। কিন্তু দিনে দিনে উপসর্গ আরো বাড়তে থাকে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পশ্চিম লকু কলোনী এলাকায় মেয়ে জিনিয়া আর স্ত্রীকে নিয়ে ছোট্র বাসায় জুয়েলের বসবাস। জিনিয়ার শারিরীক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জুয়েল রানা স্থানীয় চিকিৎসকদের শরনাপন্ন হন। কিন্তু চিকিৎসায় তেমন উন্নতি না হওয়ায় মেয়ে জিনিয়াকে নিয়ে ছুটে যান বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে যে রিপোর্ট আসে জুয়েলের হাতে তা জেনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।
চিকিৎসকরা জুয়েলকে জানান, জিনিয়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার। চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। পত্রিকা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে মেয়ের পড়াশোনা খরচ মিটিয়ে কোন মত দুবেলা ভাত জোটে। জিনিয়া বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক নজরুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছে। জিনিয়ার বর্তমান বয়স ১১ বছর। এক বছরে মেয়ের চিকিৎসা বাবদ প্রায় দুই লাখ খরচ করেছেন জুয়েল।
চিকিৎসক জানিয়েছে এ রোগের দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা চলবে, প্রয়োজন হবে অনেক টাকা। জুয়েল কোথায় পাবে এত টাকা। জুয়েল রানা জানায়, করোনার কারনে পত্রিকা ব্যবসা ভাল না, মেয়ের চিকিৎসার টাকা কি ভাবে জোগার করবো। ইতিমধ্যে ৫০ ব্যাগেরও বেশি রক্ত দিতে হয়েছে জিনিয়ার শরীরে। জিনিয়ার রক্তের গ্রুপ এ পজিটিভ। শিশু জিনিয়ার প্রাণ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছেন জুয়েল রানা। জুয়েলের বিকাশ নম্বর-০১৭২১-১০৩৯৫২।