মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
প্রকাশ্যে ঘুরছে জোড়া খুনের আসামিরা, আতঙ্কে পরিবার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামা বায়েক গ্রামে জোড়া খুনের ঘটনা প্রায় এক মাস পেরিয়েছে। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি হত্যা মামলার মূল আসামি। খুনের মামলার আসামিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে তীব্র আতঙ্কে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের লালপুর লামা বায়েক গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইশান ও মনির হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় ২১ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত এক মাসে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে ও নির্বিঘ্নে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার লালপুরে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে লামাবায়েক গ্রামের কলেজছাত্র ঈশান (২২) ও মনির হোসেনকে (২৪) প্রকাশ্যে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় লামাবায়েক গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির আহমদ আলীর ছেলে আলী আজম ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মতলব মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। এতে ঘটনাস্থলে ইশান ও মনির খুন হন।

একই গ্রামের আলী আজ্জম, মাহফুজ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাদের হত্যা করা হয় বলে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ।

এ ঘটনায় ১ অক্টোবর আশুগঞ্জ থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা হওয়ার একমাস পার হলেও পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ।

নিহত ইশানের বাবা প্রবাসী মিজানুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের এতদিন পার হলেও আসামিদের ধরা হচ্ছে না। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

মা আকলিমা আক্তার বলেন, ছেলেই ছিল আমার একমাত্র ভরসা। অনেক শ্রম অনেক প্রচেষ্টা দিয়ে তাকে লালন পালন করেছি। আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তারা মুক্ত আকাশের নিচে ঘোরাফেরা করছে। আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর অপরাধীরা পালিয়ে থাকে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]