করোনার সাথে আরও ৪টি প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন শেখ হাসিনা: এ্যাড. শ. ম রেজাউল করিম
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। এক সময়কার ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এই দেশটি এখন বিশ্ব অর্থনীতির বিস্ময়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির শুরুটা হয়েছিল শূন্য থেকে। কিন্তু বাঙালি বীরের জাতি- এর প্রমাণ রেখেছে প্রতি পলে পলে। বাঙালির উদ্যম আর কঠোর পরিশ্রমে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি অর্জনের পথে। সুষম উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেশে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে। অর্থনীতি ও শিল্পায়নে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো এসব শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকেই একের পর এক মেগা প্রকল্প নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৪১ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। বুধবার (২৮ অক্টোবর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক আইন সম্পাদক এ্যাড. শ. ম রেজাউল করিম, বার্সেলোনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সভাপতি নুরে জামাল খোকন। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
এ্যাড. শ. ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ শব্দটার একটা প্রতিশব্দ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু। একটি বলতে গেলে আরেকটি স্বাভাবিক ভাবেই এসে যায়। এই বাংলাদেশের স্বপ্ন কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিনেই দেখেননি। সেই ১৯৪৭ সাল থেকে বিভিন্ন ধারাবাহিকতায় তিনি এই স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। একটা সময় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা যখন বিভিন্ন কারণে রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে গেলেন তখন দেশের রাজনীতিতে স্থবির হয়ে পড়েছিল। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির হাল হাতে নিতে হলো। একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে তিনি এই রাজনীতির হাল ধরেন। এরপর বিভিন্ন ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, আইয়ুবের মার্শাল ল বিরোধী আন্দোলন, ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এইভাবেই কিন্তু ধীরে ধীরে অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ থেকেও বঙ্গবন্ধু সকল প্রস্তুতি আমাদেরকে দিয়ে গেলেন। কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করার পূর্বেই স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্র ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্থপতি মহাকালের মহাপুরুষকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা, শিশু রাসেল ও নারীসদস্যসহ পরিবার ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বাংলার ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় সৃষ্টি করে তারা হত্যার রাজনীতির অবতারণা করে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে। এরপর ২১বছর ক্ষমতার বাইরে থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কিন্তু রাজপথের বাইরে ছিলনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ২১ বছর এইসময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কিভাবে বিন্যাস করে দেওয়া যাবে এবং বাংলাদেশকে সেই পূর্ব পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়া যাবে তার সকল প্রচেষ্টায় চালাচ্ছিল স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্ররা। তখন নামটাই ছিল বাংলাদেশ কিন্তু সব কার্যত ছিল পাকিস্তান পন্থায়। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনলো। সেখান থেকেই তিনি আলোর পথে অভিযাত্রী হয়ে সামনের দিকে গোটা জাতিকে নিয়ে এগুতে শুরু করলো। তারপরে উনি আবার যখন ২০১৯ সালের সরকার গঠন করলেন উনি আবার এই অভিযাত্রা শুরু করলেন। এরপরে থেকেই তলাবিহীন ঝুড়ির রাষ্ট্র আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র, উন্নয়নের রোল মডেলের রাষ্ট্র, বিশ্বের কাছ মেজেসিয়ান হিসেবে, মানবতার জননী এইরকম নানাভাবে নানা অভিধানে স্বীকৃত হয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।