প্রকাশ: বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরের ক্রিয়েটিভ আইডিয়া রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘তার (নুর) ক্রিয়েটিভ আইডিয়া রয়েছে। তাকে বিএনপি পৃষ্ঠোপোষকতা করে না । তবে সে সত্য কথা বলে। যে কেউ সত্য কথা বললে তাকে সর্মথন করা হয়। বরং সরকারই পৃষ্ঠোপোষকতা করছে।’
আজ বুধবার সকাল ১০টায় ঠাকুরগাঁওয়ের তাতীঁপাড়াস্থ পৈতৃক বাসভবনে দলীয় নেতাকর্র্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শারদীয় দুর্গোৎসবে দেশের সনাতন ধর্মালম্বীদের শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে এটা সঠিক নয়। দেশে এখন ধনীরা আরও ধনী হচ্ছেন, গরিবরা গরিব হচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়নের সুবিধা চলে যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের কাছে। ইতোমধ্যে গার্মেন্টস খাতে প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। এ নিয়ে সরকার ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা ও সরকারের দৈত্য নীতির কারণে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষের আয় কমে যাওয়ায় তারা দুঃখ কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। দেশের মানুষের মতো প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। মানুষ তার নূন্যতম মৌলিক অধিকার পাচ্ছে না। আইসিটি বা তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সাংবাদিক কাজল এ কারণে মুক্ত হতে পারছেন না। সংবাদমাধ্যমগুলোতে সরকার সেন্সরশীপ জারি করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে মুক্ত সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই।
ইহুদি নিধনের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন হিটলার ইহুদিদের ধরে নিয়ে যখন হত্যা করছিল তখন কমিউস্টিরা বলে উঠে এত ইহুদিদের হত্যা করা হচ্ছে। কমিউনিস্টদের যখন হত্যা করা হচ্ছিল তখন সাংবাদিকরা বলছিল এবার কমিউনিস্টদের হত্যা করা হচ্ছে। এরপর যখন সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে হত্যা করছিল হিটলার। তখন সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলার আর কেউ ছিল না । বতর্মান এই অবস্থার দিকে এগুচ্ছে দেশ। প্রতিবাদ করলে সরকারের সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। সরকার গুণ্ডা পালছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।
ভোটকেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিত প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এটা সরকারের দায়িত্ব। তত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে ভোটারেদের যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে জনগণ নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন তার পাহাহার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তার উল্টোটা করছেন। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রহসণের নির্বাচনের আয়োজন করছে তারা। বুধবারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেআবারও সেই দৃশ্য দেখেছে দেশের মানুষ।
বেগম খালেদা অবশ্যই গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। তাকে মুক্ত করতে বিএনপি দেশে-বিদেশে জনমত তৈরিতে কাজ করছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৫ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আতাউর রহমান, মটর পরিবহন শ্রমিক নেতা আব্দুল জব্বার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন প্রমুখ।
ভোরের পাতা/এএম