প্রকাশ: বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় সহপাঠীকে ধর্ষণচেষ্টা ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় দুই স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও অপরজন পলাতক রয়েছে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটার পর সোমবার ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দুটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা একজন দিনমজুর। তার মা চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গ্রেফতার স্কুলছাত্রের নাম নাহিদ ইসলাম কাঁকন (১৮)। তার বাবার নাম আলম নাজির। তারা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। পলাতক স্কুলছাত্রের নাম তামিম হোসেন। সেও একই গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, সোমবার কাজের কারণে ঘরের বাইরে ছিলেন ধর্ষণচেষ্টার শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা। এ সুযোগে তাদের ঘরে আসে কাঁকন। পানি পানের কথা বলে স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢোকে সে। ওই ছাত্রীকে প্রেমের কথা বলে বিভিন্নভাবে ভুলিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে কাঁকন। এ সময় ওই ছাত্রীর ঘরের বাইরে থেকে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তামিম। পরে ভিডিওটি মোবাইলের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ঘটনাটি জানতে পারেন।
ঘটনাটি নিয়ে গত রোববার স্থানীয়ভাবে কাঁকন ও তামিমের পরিবার ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা করে। কিন্তু মেয়ের বাবা এতে রাজি না হয়ে বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় ধর্ষণের চেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি আইনে কাঁকন ও তামিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গতকাল সোমবার রাতে কাঁকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তামিম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আরও জানা গেছে, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাঁকন জানিয়েছে, তার সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে তার আহ্বানেই মেয়েটির ঘিরে গিয়েছিল সে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন জানান, গ্রেফতার কাঁকনকে মঙ্গলবার পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত মল্লিকের আদালতের হাজির করা হবে। তামিমকে গ্রেফতারে সচেষ্ট আছে পুলিশ সদস্যরা।
ভোরের পাতা/এএম