‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ব্যাপক কর্মতৎপরতা শুরু করেছে। আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয়ভাবে দিনটি পালন করা হবে।
এনিয়ে আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (পুলিশ পরিদর্শক) মো: ফিরোজ হোসেনসহ বিভিন্ন টহলরত টিমকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মীরসরাই এলাকায় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জননিরাপত্তায় কাজ করতে দেখা গেছে।
“ঢাকা-চট্টগ্রামে মহাসড়কের জোরারগঞ্জ বাইপাস এলকায় বিভিন্ন শ্রেণীর চালকদের সাথে সড়কে যানচলাচলে এবং জন নিরাপত্তায় পরামর্শ দিচ্ছে ইছাক মিয়া।
ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন জানান, আমরা ইতিমধ্যে মহাসড়কের নিরাপত্তায় ব্যপক নিরাপত্তা গ্রহন করেছি। মহাসড়কে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে এলাকায় এখন দূর্বৃত্তায়ন অনেকটা কমে এসেছে। সেটাকে আমরা জিরোতে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত আছে। সড়ক নিরাপদ থাকলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবে। আমরাও চাই জনগন সচেতন হয়ে নিজ নিরাপত্তারক্ষায় যত্রতত্র যাতে একা কিংবা নিরাপত্তাহীন স্থানে চলাফেরা করতে নিজ সচেতনাবোধ গ্রহন করে। আমাদের সকল উদ্যোগের সাথে থাকে জনসাধারণের নিরাপত্তার বিষয়।
তিনি বলেন, আগামিকাল ‘জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা দিবস’। আমরা সড়ক চলাচলে পথচারী, জনসাধারণ, গাড়ির চালক ভাইদের যাতে নিজ নিজ নিরাপত্তায় এবং জনগনকেও যেন তারা নিরাপদে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সচেতন হয় আমরা সার্বিকভাবে তাদের উৎসাহিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মনে করি, চালক এবং যাত্রীর মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলে সড়কে দূর্ঘটনা রোধ হবে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে।
কুমিল্লা রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম জানান, জনসাধারণ এবং চালকদের জন্য আমাদের হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে নিয়মকানুন মেনে পুলিশের এই ব্যবস্থাপনাকে জনসাধারণও নিয়ম মেনে সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহাসড়ক নিরাপত্তায় যেসব কর্মতৎপরতা গ্রহন করেছে হাইওয়ে পুলিশ:
১। মহাসড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে বুদ্ধিমত্তা ও সুকৌশল অবলম্বন করে ডাকাতদল গ্রেফতার পূর্বক অপরাধ নিয়ন্ত্রন করে যাচ্ছে।
২। কোথাও কোন যানযট সৃষ্টি হলে তাৎক্ষনিক ভাবে কর্মদক্ষতার দ্বারা যানজন নিরসন করছে।
৩। মহাসড়কের পাশে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ সহ যানবাহনের ড্রাইভারদের যানযট নিরসনে বাস বে ব্যবহারের জন্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরামর্শ প্রদান।
৪। জনসাধারনকে মহাসড়কের উপর নির্মিত ফুটওভার ব্রীজ ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান।
৫। সিএনজি চালকদের মহাসড়কে সিএনজি না চালানোর জন্য পরামর্শ প্রদান।
৬। মহাসড়কের বিভিন্ন ষ্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা পূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন।
৭। মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চলাচলে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন।
৮। গাড়ী চালকদের যততত্র গাড়ী থামানো প্রতিরোধ।
৯। মহাসড়কে ছিনতাই, ডাকাতি রোধকল্পে হাইওয়ে পুলিশের টহল ডিউটির কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।