প্রকাশ: বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৪০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় বিক্ষোভে সরাসরি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। দেশটির বৃহত্তম শহর লাগোসে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভে নামে হাজার হাজার মানুষ। পুলিশের গুলিতে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি ২০ জনের মৃতদেহ দেখেছেন এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গুলিতে মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট পেয়েছে তারা।
গোলাগুলির ঘটনার তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া লাগোস ও অন্যান্য শহরে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগে থেকেই দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছিল নাইজেরিয়া সরকার।
দু'সপ্তাহ ধরে পুলিশের বিতর্কিত বিশেষ বাহিনী স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বর্বরতার বিরুদ্ধে নাইজেরিয়াজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। হতাহত ছাড়াও অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
লাগোসে ওই গোলাগুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এবং দেশটির সেনাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজের দেশের জনগণকে হত্যায় নাইজেরিয়া সরকারকে দায়ী করেছেন দেশটির ফুটবলার ওডিয়ন জুড ইগহালো। টুইটারে এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘আমি এই সরকারকে নিয়ে খুবই লজ্জিত।’
নাইজেরিয়ায় তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি পুলিশের এই সার্সি বাহিনী ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একই সাথে যেসব পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, বিচারের মাধ্যমে তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও এই বিক্ষোভ থামেনি।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই বাহিনীকে বিলুপ্ত করলেই নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হবে না। এজন্য তারা অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার, নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং পুলিশের পুরো বাহিনীতে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন।