প্রকাশ: বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৩৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সাংবাদিক জামাল খাসোগির বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে এই মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ব্যক্তিগতভাবে খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে নিহতের বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস ও ডেমোক্র্যাসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ নামের মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে। খবর বিবিসির
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একদল কর্মকর্তার কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ফলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জামাল খাসোগি মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন টাইমসে কলাম লিখতেন। যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানসহ সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনা স্থান পেয়েছে তার বিভিন্ন লেখায়। এতেই রাজপরিবার ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
খাসোগি হত্যার বিষয়ে সৌদি আরবে একটি রায় হয়েছে। তবে তাতে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানকে জড়ানো হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে শাস্তির আদেশ দেওয়া হয়েছিল তাদেরকেও খাসোগির সন্তানরা ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে সৌদি সরকার জানিয়েছে।
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদির আলোচিত সাংবাদিক জামাল খাসোগি। তুর্কি বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিসকে কনস্যুলেটের বাইরে রেখে সেখানে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়। বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আনতেই ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেছিলেন খাসোগি।
তার নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় কর্মকর্তাদের ভুলে নিহত হন ওই সাংবাদিক। তবে তার মৃতদেহের কোনো সন্ধান দেয়নি সৌদি আরব।
তুরস্ক অভিযোগ করেছিল যে, খাসোগিকে হত্যার পর তাকে টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর মৃতদেহ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সৌদি আরবের পাশাপাশি তুরস্ক আলাদাভাবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।