প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ১০টাকা কেজি’র (খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি) সাড়ে ৫ হাজার কেজি চাল নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের হেলালিয়া বাজারের ডিলার বেলাল হোসেনের ডিলারীর দোকান থেকে প্লাস্ট্রিক বস্তায় করে চাল পাচার করার সময় স্থানীয় জনতা ১৫ বস্তা চালসহ একটি অটোচার্জার ধরে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালসহ ওই বাহন আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিনের নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবা হক ডিলারের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় প্লাস্টিকের বস্তায় আরোও ১৫বস্তা এবং সরকারি সীল মোহর দেওয়া ২৩৪ বস্তা চাল জব্দ করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে ওই দিন রাতে আদমদীঘি থানায় মামলা করেন।
এদিকে ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার ডিলার বেলাল হোসেন তাঁর পুর্বের মামলার হাজিরা দিতে সকালে বগুড়ার আদালতে যায়। যাবার পুর্বে ট্যাগ অফিসারকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, তিনি চাল বিতরণ করবেন না, ছুটির আবেদন করেছেন। আপনার আসার প্রয়োজন নাই। এমতাবস্থায় বুধবার ডিলারের দোকান থেকে চাল পাচারের সময় আটক, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, চাল জব্দ এবং মামলা হয়। কিন্তু ডিলার সেই মঙ্গলবার ১৮০ জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণ করেছেন মর্মে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট ট্যাগ অফিসারের স্বাক্ষর বিহীন মাস্টার রোল দিয়েছেন। ডিলার ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি ছাড়া কার নির্দেশে কে চাল বিতরণ করলেন সেটা নিয়ে সচেতন মহলে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অপর দিকে, সোমবার ২৫০ জন কার্ডধারীর নিকট চাল বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবারের বিতরণ সঠিক হলে দুই দিনে মোট বিতরণ সংখ্যা ৪৩০ বস্তা। ডিলার সরকারি গুদাম থেকে উত্তোলন করেছেন ৬৭০ বস্তা। সে হিসাবে তাঁর দোকানে অবিলিকৃত চালের মজুত থাকার কথা ২৪০ বস্তা।
কিন্তু ভ্যাম্যমান আদালত পেয়েছেন ২৩৪ বস্তা। অবশিষ্ট ৬ বস্তা চালের হিসাব কেউ মেলাতে পারছেন না। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিতোষ কুমার কুন্ডু সদুত্তোর দিতে পারেননি। ট্যাগ অফিসার কামরুল আহসান কাঞ্চন দৃঢ ভাবে জানান, ডিলার মঙ্গলবার চাল বিতরণ করবেন না বলে জানিয়েছেন। এ কারনে আমি এ দিনের বিতরণ মাস্টার রোলে স্বাক্ষর করিনি। ফলে এই ১৮০ বস্তা এবং মজুত ঘাটতি ৬বস্তা মোট ১৮৬ বস্তায় ৫হাজার ৫৮০কেজি চাল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধু¤্রজাল। ডিলার বেলাল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও সংযোগ মেলেনি।