ঢাকাকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরে ভারতের সহযোগিতার প্রস্তাব ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে নগর ভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়ে এ প্রস্তাব দেন।
স্মার্ট সিটি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ সময় একটি লিখিত প্রস্তাবনার অনুরোধ করেন। প্রত্যুত্তরে ভারতীয় হাইকমিশনার দ্রততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানান।
বৈঠকে মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ মৌলিক সেবা কার্যক্রমের দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধনে নেতৃত্ব দেয়ায় ভারতের হাইকমিশনার করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে অভিনন্দন জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ আয়োজনে ভারতীয় অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারের সহযোগিতা চেয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে উপলক্ষ করে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ আয়োজন করতে যাচ্ছি। সেই আয়োজনে ভারতীয় অ্যাথলেটদের দৃশ্যমান অংশগ্রহণের জন্য আপনার আন্ততরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১ এর আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডিএসসিসি মেয়র এ সময় আরো বলেন, ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট এর আওতায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই এ কাজে গতি আসবে।
এ সময় মহামারী করোনার প্রভাব হ্রাস পেলে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপসকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং কলকাতা সিটি করপোরেশনসহ কয়েকটি সিটি করপোরেশনের এলাকা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।
ভারতীয় হাই কমিশনারের এই প্রস্তাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, করোনার প্রভাব শেষ হলে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তিনি ভারত সফর করবেন।
এ সময় ভারতীয় সিটি করপোরেশন ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করতেও ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সম্মতিজ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাংকিং, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন, সিএফএল বাল্ব এর পরিবর্তে এলইডি বাল্ব প্রতিস্থাপন এবং রাজস্ব সংগ্রহ ও আদায় বাড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান, দুই দেশের আইনজীবীদের নিয়ে একটি আইন বিষয়ক বইমেলা আয়োজন এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের বিচারপতিগণ বাংলাদেশ হতে ভারতের এবং ভারত হতে বাংলাদেশের হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্ট পরিদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহযোগিতা করারও প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার যে ক’দিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন সে ক’দিন ঢাকাবাসীর উন্নয়নে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে পারাটাকে সৌভাগ্য বর্ণনা করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারতীয় বিমান বাহিনীর সদস্য হিসেবে যৌথ বাহিনীর হয়ে তার পিতা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।