প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০, ৪:০১ পিএম আপডেট: ২০.১০.২০২০ ৪:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে সেচ সুবিধা বৃদ্ধিসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৬৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে ১ হাজার ৫২৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৪৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
এ সময় পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম গণভবনে উপস্থিত ছিলেন। একনেকের বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। বিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, কৃষি, পানি ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের জাকির হোসেন আকন্দ।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল নাসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেটির প্রয়োজন হবে না। আমরা যেহেতু ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে অনেক প্রকল্প দিয়েছি, তাই এই প্রকল্পের পুরো ব্যয়ই সরকারি তহবিলের অর্থে করতে হবে। একনেকে অনুশাসন দিতে গিয়ে বিমানবন্দরগুলোর লাইটিং ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যেহেতু বিমানবন্দরগুলোর ব্যবহার বাড়ছে সেহেতু এগুলো সবসময় সংস্কারের মধ্যেই রাখতে হবে। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি ল্যান্ডফিলগুলো যাতে পানি দুষিত না কওে সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।’
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পানির উৎসের কাছে ল্যান্ডফিল করা যাবে না। অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে যেসব বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর কথা বলেছেন শেখ হাসিনা।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, ‘বিমানবন্দরের রানওয়ে উন্নয়নে ১৮ কোটি টাকা পরামর্শক ব্যয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিমান মন্ত্রণালয় ব্যাখাও দিয়েছে।’
ব্রিফিংয়ে জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কে বেশি লোডের গাড়ি চলাচল করায় এগুলো টেকসই হচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। এসব সড়কে বড় বড় ট্রাক গাছসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন থেকে গ্রামীণ রাস্তাগুলো অনেক বেশি মজবুত করে তৈরি করতে হবে। যাতে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছানো যায়।’
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো : যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও রাজশাহীর মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৯ কোটি টাকা। আর ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তর দিনাজপুর ও জয়পুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।