প্রকাশ: শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চোঁখ ধাধানো স্থাপত্য ও পুরাকীর্তির শৈল্পিক নিদর্শন। এরকম একটি পুরাকীর্তির নিদর্শন পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ। প্রাচীন এই মুসলিম স্থাপত্য শৈল্পটি তৈরী করা হয়েছিলো ৫০০ বছরেরও আগে।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আদমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহি মুন্সি বাড়িতে মুন্সি আমিরুল্লাহ এই মসজিদটি তৈরী করেন।
৫০০শতাধিক বছরের পুরনো মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট মুন্সি আমিরুল্লাহ জামে মসজিদ। যা প্রত্বতত্ত্ব স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। মুন্সি আমিরুল্লাহর সপ্তম বংশধরদের আর্থিক অভাব অনটনের কারনে রক্ষনাবেক্ষন না হওয়ায় মসজিদের সুন্দর্য ও জৌলুস দিন দিন কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।
চুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির মূল ভবন চারপাশে ২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট। উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট একতলা মসজিদ। মসজিদের ভেতরে ২৫ থেকে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরে বাইরে সমস্ত পলেস্তরা ফেটে ভেঙে ইট বের হয়েগেছে। পরিচর্যার অভাবে মসজিদের বাহিরের আস্তর নষ্ট হয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। বৃষ্টির পানিতে মসজিদের দেয়ালে শেওলা জমে বিবর্ন হয়ে গেছে মসজিদের সৃন্দর্য। মসজিদটির পাশেই আছে ৫০০শত বছরের পুরানো দিঘি। এলাকাবাসী মনে করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উদ্যোগ নিলে এটি হতে পারে একটি দর্শনীয় স্থান।
আমিরউল্লাহ মুন্সির সপ্তম বংশধর শাহ আলম মুন্সি (৮০) জানান, অনেকবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন সংস্থার মানুষ মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন কিন্তু কেউই এটি সংস্কার বা রক্ষনা বেক্ষনের দ্বায়িত্ব নেয়নি।
দশমিনা সরকারী ডিগ্রি কলেজের ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক মো: ইমাম হোসেন জানান, দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যর অংশ হিসেবে এই মসজিদটি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সরকার এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব নেয়া উচিত।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস,এম শাহজাদা জানান, মসজিদটি সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে চিঠি দিবেন॥