বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান করে মন্ত্রিসভায় সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ আইন এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সকোরের উক্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে নিউইয়র্কে আনন্দ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুক্তরাষ্ট্র শাখা। জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজা প্রাঙ্গণে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
আনন্দ সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান ও আব্দুল হাছিব মামুন, প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম ও কার্যকরী সদস্য শাহানারা রহমান। সমাবেশ পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল হক রাসেল।
উপরোক্ত সমাবেশে উল্লেখযোগ্য নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ আতিক, কানেকটিকাট ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শাখাওয়াত বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা গণেষ কীর্তনীয়া, কুইন্স যুবলীগের সভাপতি নান্টু মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন জয়, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য হেলাল মিয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মৃদুল করিম, নিউইয়র্ক ষ্টেট ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান মাহমুদ। যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ. এম. উয়েজ, শাহরিয়ার হোসেন রুবেল, শেখ স¤্রাট নীল, জয় হোসেইন, অপু খান, স¤্রাট আহমেদ, খান মিনহাজুর রহমান, জহিরুল ইসলাম জয়, সোহান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা দেশব্যাপী নারী-নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং এই অপরাধ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার বলেই ধর্ষনের ঘটনাকে সর্বোচ্চ জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিষয় বলেই ধর্ষকের শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ আইন করেছে। এতে প্রমাণ হয় যে, এই সরকার জনবান্ধব সরকার। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশের মানুষ ভালো থাকবে। এজন্য দেশ ও প্রবাসে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।