ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে একটানা ভোটগ্রহণ। দুটি আসনেই ইভিএম-এ (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট হচ্ছে।
ঢাকার ভোটে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ছয় দল এবং নওগাঁয় তিন দলের প্রার্থী থাকলেও মহামারীর মধ্যে ভোটের সেই উত্তাপ বা ভোটারদের আগ্রহ- কোনোটাই সেভাবে নেই।
সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের স্বার্থে নির্বাচনী এলাকায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গণপরিবহনে সীমিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, ভোটগ্রহণের আগের দুদিন এবং পরের এক দিন নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুই আসনেই সকাল ৯টা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত কিছু গণপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য।
নির্বাচন কমিশন আরও বলছে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে ভোট নেওয়া যায়, তার সব ব্যবস্থাই হয়েছে। শুক্রবারই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে ইভিএম থাকছে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে কারিগরি দল। কেন্দ্রে সবার জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী থাকবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বার্তা নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে ব্যানারও থাকবে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ দুটি আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলীর আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুর সবুর, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান।
এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন; যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন ও নারী ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন। আসনে ১৮৭ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট তিনজন প্রার্থী। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল), বিএনপির শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. খন্দকার ইন্তেখাব আলম।
এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৭২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন ও নারী ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৭ জন। আসনে ১০৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যাওয়ায় শূন্য হয় ঢাকা-৫ আসন। আর সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে গত ২৭ জুলাই নওগাঁ-৬ আসন শূন্য হয়।