শেখ হাসিনার উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে হলে সবাইকে সৎ থাকতে হবে : প্রকৌশলী শফিকুর রহমান
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর বর্তমানে ২০২০ সালে যে বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সেটা তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি সম্ভাবনার নাম। বঙ্গবন্ধুর দেখা স্বপ্নের দেশ আজ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। একসময়ের অচেনা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। দেশে একে একে উন্মোচিত হচ্ছে সম্ভাবনার দ্বার। চার লেন মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এলএনজি টার্মিনাল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পরিকল্পিত বহুমুখী বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে দেশজুড়ে। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকেই একের পর এক মেগা প্রকল্প নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১২৯ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিআইপিএনজেত, এফআইইবি, অনারারি কনস্যুল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ড কনস্যুলেট এবং সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এর উপ উপাচার্য ড. শাহিনূর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. বদরুজজামান ভূইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর কোষাধ্যক্ষ এবং নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দ্বীপ আজাদ। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু) বলেন, আজকে যে দেশটির সম্ভাবনার কথা বলছি সেই দেশটির তৈরিতে যার ভূমিকা অপরিসীম, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আগে বাংলাদেশের পরিচয় ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, বন্যা কবলিত দেশ। কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃতে আজ তা বধলে গিয়েছে। বাংলাদেশ যে সঠিক পথে এগিয়ে গেছে তা এখনকার উন্নয়ন দেখলেই বুজা যাই। বিদেশে আগে আমাদের ছেলে মেয়েরা নিজেকে বাঙ্গালি বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পেতো কিন্তু আজ তারা বাংলাদেশের ক্রিকেট, বিদেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সহ আরও অনেক কিছুই দেখে আজ তারা নিজেকে বাংলাদেশের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। স্থানীয় উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আয়ুস্কাল বেড়েছে এবং শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমেছে। বেড়েছে স্কুলে যাওয়ার হারও। পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ও শ্রমশক্তিতে তাদের অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে। সামাজিক অনেক সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়ের ব্যবধান কমে এসেছে; যা স্বাধীনতার সময় অভাবনীয় ছিল, তা এখন বাস্তবতা। গত দুই দশকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের যেকোনো সূচকের বিচারে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯০-এর পর সার্বিকভাবে প্রবৃদ্ধিতে উন্নয়নশীল দেশের গড় হারের তুলনায় অনেক এগিয়েছে। দারিদ্র্যের হার অর্ধেক হয়ে গেছে। মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদানের হার দ্রুত বেড়েছে, জনসংখ্যা, গড় আয়ু, শিশুমৃত্যুর হার, মেয়েদের স্কুলে পড়ার হার, সক্ষম দম্পতিদের জন্মনিয়ন্ত্রণব্যবস্থা গ্রহণের হার ইত্যাদি সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ সমপর্যায়ের উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতকে পেছনে ফেলতে সমর্থ হয়েছে। প্রায় সবগুলো সূচকেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদেরকে যার যার জায়গা হতে সৎ ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।