শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলেই বাংলাদেশে আশা বেঁচে থাকবে : প্রফেসর ড. মো. বদরুজজামান ভূইয়া
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৫১ পিএম আপডেট: ১৬.১০.২০২০ ১০:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর বর্তমানে ২০২০ সালে যে বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সেটা তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি সম্ভাবনার নাম। বঙ্গবন্ধুর দেখা স্বপ্নের দেশ আজ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। একসময়ের অচেনা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। দেশে একে একে উন্মোচিত হচ্ছে সম্ভাবনার দ্বার। চার লেন মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এলএনজি টার্মিনাল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পরিকল্পিত বহুমুখী বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে দেশজুড়ে। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকেই একের পর এক মেগা প্রকল্প নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১২৯ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিআইপিএনজেত, এফআইইবি, অনারারি কনস্যুল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ড কনস্যুলেট এবং সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এর উপ উপাচার্য ড. শাহিনূর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. বদরুজজামান ভূইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর কোষাধ্যক্ষ এবং নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দ্বীপ আজাদ। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
প্রফেসর ড. মো. বদরুজজামান ভূইয়া বলেন, আজ আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে স্মরণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছি, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৫ই আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন। সে সাথে স্মরণ করেছি জাতীয় ৪ নেতাকে, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনদের। আজকে আমাদের দেশের প্রত্যেকটি উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ অবদান দেখতে পারছি। আজ আমাদের মাথা পিছু আয় ভারতকেও অতিক্রম করতে যাচ্ছে। আজকে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। গত দশ বছর আগে আমাদের বিদ্যুৎ ছিল সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট সেটা আজকে বাড়তে বাড়তে সাড়ে ১৩ হাজার ছারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে এই শেখ হাসিনার শাসনামলেই। শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। শিক্ষার হার শতভাগ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ক্ষুদ্র আয়তনের একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের নিকট প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার এবং দারিদ্র দূরীকরণে তার ভূমিকা, জনবহুল দেশে নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুতা আনয়ন, বৃক্ষরোপণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। এ দেশে রয়েছে পর্যটনের সর্বদীর্ঘ ও চিত্তাকর্ষক সৈকত। সীমিত পরিসরে তেল আছে হয়তোবা সোনাদানাও। আরও আছে টাঙ্গুয়ার হাওড়ের জীব ও প্রাণীবৈচিত্র্যের সমারোহ। সুন্দরবনের কথাও সবারই জানা। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দৃষ্টিনন্দন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও হৃদয় উষ্ণ করা সামাজিক অগ্রগতি ‘বিস্ময়’ বলে উল্লেখ করলেও এই অর্জন যে সঠিক নীতি-কৌশল ও সংশ্লিষ্টজনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল সে সম্পর্কে সন্দেহ করার কারণ নেই। সমসাময়িক বিশ্বের অর্থনৈতিক মহামন্দা সাহসিকতার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করে যে গুটিকয় দেশ সামষ্টিক আয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, বাংলাদেশ সেগুলোর অন্যতম। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন দ্রুতগতি সমৃদ্ধির পথে।