প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর বর্তমানে ২০২০ সালে যে বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সেটা তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি সম্ভাবনার নাম। বঙ্গবন্ধুর দেখা স্বপ্নের দেশ আজ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। একসময়ের অচেনা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। দেশে একে একে উন্মোচিত হচ্ছে সম্ভাবনার দ্বার। চার লেন মহাসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, এলএনজি টার্মিনাল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, পরিকল্পিত বহুমুখী বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে দেশজুড়ে। পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকেই একের পর এক মেগা প্রকল্প নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১২৯ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিআইপিএনজেত, এফআইইবি, অনারারি কনস্যুল, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অকল্যান্ড নিউজিল্যান্ড কনস্যুলেট এবং সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী শফিকুর রহমান ভূঁইয়া (অনু), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া এর উপ উপাচার্য ড. শাহিনূর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. বদরুজজামান ভূইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এর কোষাধ্যক্ষ এবং নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দ্বীপ আজাদ। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
দ্বীপ আজাদ বলেন, আমি প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি এবং তারই সোনার বাংলাদেশের আমি একজন গর্বিত নাগরিক। আজ এই আয়োজনে ভোরের পাতার প্রকাশক ও সম্পাদক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সে সাথে আজ সম্মানিত উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দদেরকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত দেশের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাকে আমি যতটুকু দেখা ও জানার সুযোগ পেয়েছে তিনি দিনে ১৮ঘণ্টার বেশী কাজ করে থাকেন। উনি সবার উপরে থেকে যে উন্নয়ন কাজ গুলো করে যাচ্ছেন, আমরা যারা নিচে আছি তাদের দায়িত্ব হলো সেখানকার ভুল ত্রুটি গুলো ধরিয়ে দিয়ে সে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখা। আমরা সারাদিন যে উন্নয়নের কথা বলে যদি দিন শেষে সঠিক কাজটি না করি তাহলে তো হবেনা। আমরা একদিকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের কথা বলছি, আমরা একদিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সহযাত্রী হওয়ার কথা বলছি আরেকদিকে রুপপুরের বালিস কাণ্ড করছি, বঙ্গবন্ধুর নামে বই করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বিক্রি করে দিচ্ছি, তিতাস এর অবৈধ লাইন নিয়ে শেষ করে দিচ্ছি, আমরা ওয়াসার পানি দিতে পারছি না। আমাদের বর্তমান উন্নয়নে কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী ভারতকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছি। আমরা মানব সম্পদ উন্নয়নে এগিয়ে গিয়েছি, শিক্ষাখাতে এগিয়ে গিয়েছি। আজ আমরা বিদ্যুৎঘাটতি থেকে বিদ্যুৎতায়নের দেশে উন্নত হয়েছি। একসময় আমরা ভাবতাম কখন বিদ্যুৎ আসবে সেটা আলোচনা করতাম এখন কখন বিদ্যুৎ যাবে সেটা কেউ বলতে পারেন না। আমাদের রিজার্ভ অতিথের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছি। আজ এতো কিছু হওয়ার সর্তেও গুটিকয়েক কাণ্ডের কারণে আমরা কিছুটা বিচলিত হচ্ছি। আমরা যদি শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন যাত্রায়, তার এই উন্নয়ন চেষ্টায় আমাদের কিছু পজিটিভ চেষ্টা যোগ করতে পারি, আমরা যদি কিছুটা শুধরাতে পারি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাবনার বাংলাদেশ একদিন বিশ্বে এক থেকে বিশের মধ্যে একটি দেশ হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা ও আমাদের সন্তানেরা দাবি করতে পারবো সত্যিই আমরা একটি গর্বিত দেশের নাগরিক।