প্রকাশ: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সর্বত্র গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গরু মহিষের প্রধান খাদ্য খড় ও ঘাস। হেলাফেলার খড় এবার বিক্রি হচ্ছে সোনার দামে। হালুয়াঘাটে প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। ছোট খড়ের গাদা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকায়। মাড়াই করা খড়ের দাম আরেকটু বেশি।এমন অবস্থার কারণ হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি বন্যাকে দায়ী করছে ভুক্তভোগীরা।
অধিক মূল্যেও গরুর প্রধান খাবার খড় পাওয়া যাচ্ছে না। কোন উপায় না পেয়ে গরুর মালিকেরা কচুড়ি পানা, বাঁশ পাতা ও ঘাস সংগ্রহ করে গবাদী প্রাণীকে খাওয়াচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অতি বৃষ্টি ও উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বন্যায় কৃষকদের সংরক্ষিত গরুর খাদ্য খড় সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়।এতদিন চড়া মূল্যে খড় কিনে সংকট মিটালেও এখন আর তাও পাওয়া যাচ্ছে না। গৃহস্থালিরা গরু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। সাময়িক ভাবে তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে কচুরি পানা ও ঘাস সংগ্রহ করে গো-খাদ্যের অভাব মেটালেও রোগ ব্যাধির ভয়ে বেশিদিন এটির উপর নির্ভরশীল হতে পারছেন না বলে জানালেন,উপজেলার মনিকুড়া গ্রামের কৃষক রাজ্জাক মিয়া।
একই গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান,দ্বিগুন দামেও গো খাদ্য মিলছে না। বাজার থেকে গরুর খাদ্য কিনতে না পারায় খামারীরা কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার হালুয়াঘাট গো হাটে গিয়ে দেখা যায়, কম দামে গরু বিক্রি করে বাড়িতে ফিরছেন আদর্শ কৃষক রফিক উদ্দিন তিনি বলেন, চাল কিনে নিজেরা ভাত খাব না গরুর খাদ্য কিনবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শহীদুল আলম জানান,ঘন ঘন বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকদের সঞ্চিত খড় পচে নষ্ট হওয়ায় গরুর শুকনো খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস ভিজা খড় সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করাসহ কাঁচা ঘাস চাষ করা, মাঠের আইল থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।